শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

নৌকার সেতু কুমিল্লায়

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

নৌকার সেতু কুমিল্লায়

তিতাস নদী। একপাড়ে কুমিল্লার মুরাদনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীগর উপজেলা। অন্য পাড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা। তিন উপজেলার মোহনার এ স্থানটিতে নৌকায় নদী পার হতে হয়। পিপড়িয়াকান্দা  থেকে ফরদাবাদ রবির বাজার, এখানে কখনো নৌকার সাঁকো, কখনো খেয়া নৌকায় তিন উপজেলার মানুষ পারাপার হন। সম্প্রতি নৌকার সাঁকোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এখানে একটি ব্রিজের দাবি জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিন দেখা গেছে, দুই পাড়ে উল্লেখযোগ্য দুটি প্রাচীন বাজার। পিপড়িয়াকান্দা বাজার থেকে ফরদাবাদ রবির বাজার খেয়া ঘাট। তিতাস নদীর দুই পাড়ে সারি সারি নৌকা। পিপড়িয়াকান্দার উত্তর পাশ লাগোয়া নবীনগর উপজেলার ডুবাইচাইল। নৌকায় প্রতিবার পার হতে যাত্রীদের ৫ টাকা করে দিতে হয়। কচুরিপানা ভর্তি নদীতে নৌকা আটকে           যায়। মাঝি দুই হাতে কচুরিপানা সরান। এইভাবে ৫ মিনিটের নদী পার হতে কখনো ১০ মিনিটও লেগে যায়।

বঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবির বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ফরদাবাদ রবির বাজার থেকে নবীনগরের ডুবাইচাইল, বাজে বিশারা, ভিটি বিশারা এবং মুরাদনগরের পিপড়িয়াকান্দা, চন্দনাইলসহ আশপাশের গ্রামের যোগাযোগের জন্য এখানে ব্রিজ প্রয়োজন। পিপড়িয়াকান্দা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরজু মিয়া বলেন, এখানে ব্রিজ না থাকায় দুই পাড়ের তিন উপজেলার  মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত যোগাযোগের জন্য ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই। নবীনগর উপজেলার ডুবাইচাইল গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, এখানে তিতাস নদীর ওপর ব্রিজ হলে আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।

নৌকার মাঝি পিপড়িয়াকান্দা গ্রামের মোখলেছ মিয়া বলেন, আমরা অর্ধশতাধিক মাঝি এখানে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করি। মাঝে মাঝে নদীতে কচুরিপানা জমাট বেঁধে যায়। তখন নৌকা চালানো যায় না। সে সময় আমরা নৌকা সারিতে রেখে সাঁকোর মতো করে ফেলি। তার ওপর দিয়ে মানুষ হেঁটে পার হয়। মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এখানে ব্রিজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি যাচাই করে দেখব। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর