শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

চলে গেলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আরিফ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

চলে গেলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আরিফ

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক বাচিকশিল্পী হাসান আরিফ। রাজধানীর শ্যামলীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি ভাইবোনসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া শোক প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও সংস্কৃতি  প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এ আবৃত্তিশিল্পীর মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য দান করে দেওয়া হবে। জানা যায়, গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হন হাসান আরিফ। এরপর কিডনি, ফুসফুসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার পর আবার কেবিনে নেওয়া হয়। সেই ডিসেম্বর থেকেই শারীরিক অবস্থার উন্নতি আর অবনতির মধ্যে ছিলেন। কখনো আইসিইউ আবার কখনো বেডে চিকিৎসা চলে। তার সুস্থতা ও ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন স্বজন ও গুণগ্রাহীরা। কিন্তু সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরতে পারেননি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু জানান, শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর লালমাটিয়ার বোনের বাসায় মরদেহ নেওয়া হবে। এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।  এরপর বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মরদেহ দান করা হবে। ১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লার সাহেব বাড়িতে জন্ম নেওয়া হাসান আরিফ আবৃত্তিচর্চায় যুক্ত হন আশির দশকে। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। দেশে আবৃত্তিচর্চার বুনিয়াদ গঠন এবং প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনগুলোতে হাসান আরিফ ছিলেন সক্রিয়।

সর্বশেষ খবর