বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বগুড়ার ইফতারে ছোলা বুন্দিয়া পিঁয়াজু জনপ্রিয়

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ার ইফতারে ছোলা বুন্দিয়া পিঁয়াজু জনপ্রিয়

বগুড়ার ইফতারে ঐতিহ্য কয়েক যুগ ধরে রেখেছে ছোলা, বুন্দিয়া, মুড়ি, পিঁয়াজু এবং বিভিন্ন ধরনের পানীয় খাবার। দাম যেমনি হোক ইফতার কেনায় ভিড় জমাচ্ছে সবধরনের মানুষ। ছোলা, বুন্দিয়া, মুড়ি, পিঁয়াজু মানে অভিজাত ইফতার বলে মনে করা হয়। সব মিলিয়ে বগুড়ার ইফতারে ঐতিহ্য অপরিহার্য হয়ে আছে। বগুড়ায় প্রথম রমজানে ইফতার পণ্যসামগ্রীর দাম ছিল বেশ চড়া। মূল্য বৃদ্ধির মধ্যেই প্রথম দিন থেকে গতকাল চতুর্থ রোজা পর্যন্ত একই দামে কেনাবেচা হয়েছে।

প্রধম দিনের পর থেকে ইফতারের দোকানগুলোতে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় এখনো রয়েছে। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী সাদা দই, ছোলা, বুন্দিয়া, মুড়ি, পিঁয়াজু এবং বিভিন্ন ধরনের পানীয় খাবারের সঙ্গে এবার ঢাকার চকবাজারের বেশ কিছু ইফতার সামগ্রীও পাওয়া যাচ্ছে। ঠান্ডা পানীয় খাবার থেকে শুরু করে সব খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় রোজাদারদের ভোাগান্তি রয়েছে। খোলা বাজারে ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে ছোলা ও বুন্দিয়া  ১৫০ টাকা কেজি আর ঝুড়ি, পিঁয়াজু, সরভাজা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। ডাব বিক্রি হচ্ছে বড় ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ইফতার সামগ্রীতে এখনো বিক্রির শীর্ষে রয়েছে সাদা দই। বেড়েছে সাদা দইয়ের দামও। ৮০ টাকা দামের দইয়ের দাম বেড়ে ৯০ টাকা আর ১২০ টাকা দামের সাদা দইয়ের দাম বেড়ে ১৪০ টাকা। জানা যায়, দিনভর রোজা পালন শেষে ইফতারিতে অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠছে বগুড়ার দই। ঠান্ডা শরবত ও ঘোল পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দই বিক্রির পাশাপাশি ইফতার সামগ্রী বিক্রিতে দেখা গেছে একেক রেস্টুরেন্টে একেক দাম।

 শহরের জলেশ্বরীতলায় ইফতার সামগ্রী বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি দাম হাঁকা হয়। আবার শহরের সাতমাথা এলাকায় বিভিন্ন হোটেলে ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। আবার কোনো কোনো হোটেলে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি। ফুটপাথে ও পাড়া মহল্লায় ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। এদিকে, বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী আকবরিয়া হোটেলে প্রথমবারের মতো ঢাকার চকবাজারের ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছে। ঢাকার ‘বড়বাপের পোলায় খায় ঠোঙ্গায় ভরে নিয়ে যায়’ নামের কয়েকটি খাবারের মিশ্রণ (মুরগি, ঘি, মটর ডাল সিদ্ধ, খাসির কলিজা, ডিম) বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। এখানে খাসির রান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি, কলিজা ভুনা, চিকেন ফ্রাই ৫১০, কোয়েল পাখি ৮০ টাকা। বগুড়ার প্রায় সব হোটেলেই হালিম ছোট বাটি ৮০ টাকা, বড় বাটি ১৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বুট ১৮০ টাকা, ছোলা ১৮০ টাকা, অন্যান্য ইফতারসামগ্রীও ১৮০ টাকা বিক্রি করছে। রয়েছে চিকেন বল, জালি কাবাব, শামী কাবাব, মিল্ক ব্রেড পাকুড়া, চিকেন ব্রেড পাকুড়া, বিফ চপ, লাচ্ছি, ফালুদা ইত্যাদি। বগুড়ার দই ব্যবসায়ী এনামুল কবির জানান, রমজান মাসে দইয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদামতো দই সরবরাহ করা যায় না। প্রতিটি সাদা দইয়ের হাড়ি বিক্রি করা হয়ে থাকে ৯০ টাকা করে। কিছু স্পেশাল বিক্রি করা হয় ১২০ টাকা করে। দই তৈরির সময় যতটা প্রয়োজন তা পাওয়া যাচ্ছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর