বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

তলিয়েছে হাওর, কাঁচা ধান কাটছেন কৃষক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

তলিয়েছে হাওর, কাঁচা ধান কাটছেন কৃষক

সুনামগঞ্জে উজানের পাহাড়ি ঢলে কয়েকটি হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়া ও বাকিগুলো ঝুঁকিতে পড়ার পর কাঁচা ও আধাপাকা ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকেরা। তলিয়ে যাওয়ার চেয়ে ‘যা-ই পাওয়া যায়’ মনে করে এমনটা করছেন তারা। অপরিপক্ব ধান কাটায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন হাওরাঞ্চলের বাসিন্দারা।

কৃষি বিভাগ বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে এপ্রিলেই পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। তখন এক মাসের মধ্যে হাওরের সব ধান কাটা সম্ভব। চলতি মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ২২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এদিকে ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনারথাল ও শাল্লা উপজেলার কইয়ারবন্দ হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে হাওরের বিস্তীর্ণ জমির বোরো ফসল। সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্র সোনারথাল হাওরে কংস নদের ডুবাইল বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে শাল্লা উপজেলার দাড়াইন নদের পুটিয়া ও কৌইয়া হাওরের বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ফসল। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধগুলোতে তৃতীয় দিনের মতো স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন কৃষকরা। ঝুঁকিতে থাকা তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওরের আনন্দনগর বাঁধ, শানির হাওরের নান্টুখালী, ঝালখালী, লালুরগোয়ালা ও সাহেবনগর বাঁধ, শান্তিগঞ্জের খাই হাওরের শালদিঘা বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছেন কৃষকরা। এদিকে সদর উপজেলার দেখার হাওর ও কানলার হাওর, ছাতকের নাইন্দার হাওর, দিরাইয়ের বরাম হাওর, শাল্লার ছায়ার হাওর, জামালগঞ্জের পাকনার হাওর, জগন্নাথপুরের নলুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের অন্তত ৪০টি বাঁধ ঢলের পানির কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে।

ফসলহানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ : সুনামগঞ্জে একের পর এক হাওরডুবির ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় কৃষক সংগঠন হাওর বাঁচাও আন্দোলন ও জেলা বিএনপি গতকাল এসব কর্র্মসূচি পালন করে। ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাওর বাঁচাও আন্দোলন।

 পরে হাওরডুবির ঘটনার প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজন সেন রায়, সুখেন্দু সেন, চিত্তরঞ্জন তালুকদার, অলিউর রহমান বকুল প্রমুখ। এদিকে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় মানববন্ধন করে জেলা বিএনপি। পরে হাওরডুবির প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলিন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলামসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর