বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের ধারেকাছেও নেই কোনো পত্রিকা

---- মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, সভাপতি, ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের ধারেকাছেও নেই কোনো পত্রিকা

ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেছেন, পুরো ঢাকা শহরে তিনি প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার কপি সংবাদপত্র বিক্রি করেন। ৫০টির বেশি সংবাদপত্র রয়েছে। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ প্রতিদিনই বিক্রি হয় ১ লাখ ২৫ হাজার কপির মতো। বাকি সব পত্রিকা মিলে বিক্রি হয় ২ লাখ কপি। সার্কুলেশনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ধারেকাছেও নেই অন্য কোনো পত্রিকা। তিনি জানান, ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি সংবাদপত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় ৩৫ বছর। এ দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মতো দ্রুত প্রসিদ্ধি লাভ করা বহুল প্রচলিত পত্রিকা তিনি দেখেননি। আবদুল মান্নান বলেন, আমার আওতায় ৫৯টি পত্রিকা বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে। হকার আছে প্রায় ৪ হাজার। গড়ে দিনে ৩ লাখ ২৫ হাজার পত্রিকা বিক্রি হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন ১ লাখ ২৫ হাজার কপি, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রথম আলো বিক্রি হয় প্রায় ৭০ হাজার কপি। বাকি সব মিলে বিক্রি হয় ১ লাখ ৩০ হাজার কপির মতো। সংবাদপত্র আছে ৫০টির বেশি। ঢাকায় অন্য কোনো পত্রিকার সার্কুলেশন ১০ থেকে ১৫ হাজার কপির ওপরে নেই। অনেক পত্রিকা অবিক্রীত ফেরত আসে। বাংলাদেশ প্রতিদিন একমাত্র পত্রিকা যার কোনো কপি ফেরত নেওয়া হয় না। বাংলাদেশ প্রতিদিন বেশি বিক্রি হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আম-জনতার পত্রিকা। চায়ের দোকান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়- সব জায়গায় এ পত্রিকাটি থাকে। এটা একটা প্লাস পয়েন্ট। সেলুন, বিভিন্ন দোকান, অফিস, বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব জায়গাতেই বাংলাদেশ প্রতিদিনের চাহিদা বেশি। অনেকে অন্য পত্রিকা রাখলে সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনও এক কপি রাখেন। শুধু দাম কম হওয়ার কারণে পত্রিকাটি বেশি চলে তা নয়, এ পত্রিকা পাঠকের সব সংবাদের চাহিদা পূরণ করে। ছোট করে হলেও সব খবর দেওয়ার চেষ্টা করে। কমের মধ্যে ভালো তথ্য পাওয়া যায়। বাজারে ৫ টাকা দামের আরও পত্রিকা আছে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিনের সহজ সাবলীল লেখনী ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কাছে টিকতে পারছে না। ধর্মীয় বিষয়গুলোও এ পত্রিকায় সুন্দর করে জায়গা পায়। ফলে সব ধরনের পাঠকের কাছে পত্রিকাটির গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া অন্য পত্রিকা যেমন প্রথম আলো শুধু সুশীলসমাজ বা নির্দিষ্ট পাঠক শ্রেণির কথা চিন্তা করে লেখে। বাংলাদেশ প্রতিদিন সব শ্রেণির মানুষের বোঝার মতো করে লেখে। আবার অনেক পত্রিকা মনে করে কোনোরকমে ১০-১২ হাজার কপি বিক্রি হলেই হলো। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সার্কুলেশন সব জায়গায় কাজ করে। সর্বত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে পত্রিকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তারা। তাই এ পত্রিকাটির ধারেকাছে যেতে পারছে না অন্য কোনো পত্রিকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর