শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেরত আসে না

-আইয়ুব খান, এজেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেরত আসে না

বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আইয়ুব খান বলেছেন, চট্টগ্রামে তিনি প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার কপি দৈনিক পত্রিকা বিক্রি করেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন বিক্রি হয় ৭ হাজার ২০০ কপির মতো। সব পত্রিকাই কমবেশি ফেরত আসে। বাংলাদেশ প্রতিদিন যা আনেন, সবই বিক্রি হয়ে যায়। ৫ টাকা দামের অন্য কোনো পত্রিকা ৫০০ কপির বেশি চলে না। বেশি দামের পত্রিকার মধ্যে প্রথম আলো বিক্রি হয় বাংলাদেশ প্রতিদিনের মতোই। বাকি ২৭-২৮টি পত্রিকা মিলে বিক্রি হয় ১০-১১ হাজার কপি। তিনি জানান, করোনার ধাক্কায় সব পত্রিকার সার্কুলেশন কমে গিয়েছিল। অধিকাংশ পত্রিকা এখনো সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বাংলাদেশ প্রতিদিন করোনার ধাক্কা ৯৫ ভাগ কাটিয়ে উঠেছে। প্রথম আলো ৬৫ ভাগের মতো কাটিয়ে উঠেছে। এখনো প্রথম আলোর ১০ ভাগ কপি ফেরত আসে। বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেরত আসে না। মনে হয় এই পত্রিকাটির আরও চাহিদা আছে। অন্য পত্রিকাগুলো এখনো সুবিধা করতে পারছে না। বর্তমানে তিনি প্রতিদিন কালের কণ্ঠ ১ হাজার ৪০০ কপি, যুগান্তর ৪৫০-৫০০ কপি, সমকাল ৪৫০-৫০০ কপি, আমাদের সময় ৪০০-৪৫০ কপি, আজকের পত্রিকা ৪০০-৪৫০ কপি, দেশ রূপান্তর ১৭০-১৮০ কপি বিক্রি করেন।আইয়ুব খান বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে সংবাদপত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার আওতায় ৩৭৫ জন হকার রয়েছেন। মহানগরীতে ৪টি ও মফস্বলে ১০টি সংবাদপত্র বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। পুরো চট্টগ্রাম মহানগর ও আশপাশের উপজেলায় তিনি পত্রিকা বিক্রি করেন। তার মতে, চট্টগ্রামে স্থানীয় পত্রিকার একটা বড় বাজার রয়েছে। সেটাকে পাশ কাটিয়ে খুব বেশি জাতীয় দৈনিক জায়গা করতে পারেনি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সংবাদের ধরন, সাবলীল লেখনী, ছোট ছোট করে প্রচুর খবর দেওয়া, দাম কম এবং সব শ্রেণির পাঠকের জন্য নিউজ থাকায় মানুষ পত্রিকাটিকে সাদরে গ্রহণ করেছে। অফিস-আদালতে, বাসা-বাড়িতে, দোকানে, রাস্তায় সবখানেই বাংলাদেশ প্রতিদিনের চাহিদা বাড়ছে। আইয়ুব খান বলেন, তিনি ছাড়াও চট্টগ্রাম হকার সমিতি ও আল হারুন এজেন্সি চট্টগ্রামে পত্রিকা বিক্রি করে। তাদের হিসাব যোগ করলে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচার সংখ্যা যে কোনো পত্রিকার চেয়ে অনেক বেশি হবে বলে মনে করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর