রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে

-অধ্যাপক জিনাত হুদা

নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেছেন, ‘সামাজিক অপরাধ এখন নানাভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেটা নারীদের প্রতি অবমাননা হোক বা সমাজের খুন-রাহাজানি যা-ই হোক না কেন।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব বলেন।

অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক অপরাধের নতুন মাত্রা বা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকদের প্রতি এক ধরনের অবমাননা দেখতে পাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি একজন নারীকে শিক্ষিকা পরিচয় দেওয়ার পরও টিপ পরার কারণে এক পুলিশ সদস্য হেনস্তা করেন। নারীদের যৌন হয়রানির প্রবণতা সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। এ হয়রানি  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হচ্ছে। আবার নতুন করে অনাবশ্যকভাবে বিজ্ঞান বনাম ধর্মের তর্ক নিয়ে আসা হয়েছে। বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গায় আর ধর্ম ধর্মের জায়গায়। এ বিষয়ে কোনো তর্ক করাই উচিত নয়। প্রতিটি ধর্মই জ্ঞানকে সর্বোচ্চ জায়গায় গুরুত্ব দিয়েছে। অথচ জ্ঞান বনাম বিজ্ঞান, নারী বনাম পুরুষ কিংবা নারীকে হেনস্তা করা এবং শিক্ষকদের হেনস্তা করার প্রবণতা এখন দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা একটি জাতি ও সমাজের জন্য দুঃখজনক। এগুলোও এক ধরনের সামাজিক অপরাধ। এখন যাঁরা জ্ঞানভিত্তিক কাজ করছেন তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে। আর এটি সমাজের জন্য চরম ভীতিকর ও অশনিসংকেত।’

জিনাত হুদা বলেন, ‘এর বাইরে টিকটকের ভিতর দিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক ভিডিও ভাইরাল এবং এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হেনস্তা করার বিষয়ও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি জানতে পারলাম একজন প্রধান শিক্ষিকা টিকটক করেন। এও আমাদের কাছে অদ্ভুত একটি ঘটনা। একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে বুঝতে হবে এ ধরনের কর্মকান্ড তাঁর বয়স, সম্মান ও পেশার সঙ্গে যায় না। আবার ছোট ঘটনায় অভিভাবক বা শিক্ষকরা শাসন করলে ছোট শিক্ষার্থীদের অনেকে আত্মহত্যা করছে। এ বিষয়গুলো নিয়েও আমাদের গভীরভাবে চিন্তা করা উচিত। এ ধরনের বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এগুলো যেন মাত্রাতিরিক্ত ও ভীতিকর পর্যায়ে চলে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর