বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেছেন, ‘সামাজিক অপরাধ দমনে অপরাধীদের মোটিভেশন দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে পরিবারগুলোয় যে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ আছে এ বিষয়ে সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সমাজে এখন কোনো ভারসাম্য নেই। এখানে কেউ কাউকে শ্রদ্ধা করছে না। যারা অতি ধার্মিক তারা অতি আধুনিক মানুষকে শ্রদ্ধা করছেন না। যদি সমাজ বা পরিবার ব্যালান্স ও মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলে তখন এ অপরাধ বেশি সংঘটিত হবে।’
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব বলেন। এলিনা খান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে মনে করছি সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ে সামাজিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। আবার পারিবারিক বন্ধন শিথিল হয়ে যাওয়াকেও অন্যতম একটি কারণ বলে ধরে নেওয়া হতো। কিন্তু ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় এখন আমরা ভালোমন্দ মিলিয়ে অনেক কিছু দেখতে পারছি। এসবের কোনটি সঠিক আর কোনটি ভুল তা বোঝার মতো জ্ঞান অনেকেরই নেই। আবার কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা একেবারে গোঁড়া। তারা সমসাময়িক কোনো বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন না। সম্প্রতি টিপ পরা ইস্যুতে এক পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনটি জানা যায়। তিনি একজন নারীকে হেনস্তা করেন। কিন্তু এরপর তাকে নিয়ে দেশবাসীর যে প্রতিক্রিয়া সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।’
এলিনা খান বলেন, ‘যে সামাজিক চর্চা থাকার কথা তা না করে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি। আমরা কেউ কারোর বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাই না। কেউ কারও বিপদে এগিয়ে যাই না, আবার কারও বিপদে বেশি এগিয়ে যাই। অর্থাৎ কোথাও আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ কোনো অবস্থান নেই। ফলে সামাজিক অপরাধগুলো ঘটছে। এজন্য পরিবার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সমাজে মানুষদের মোটিভেশন বাড়াতে হবে।’