রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

থানায় চুরি-ছিনতাইয়ের মামলা না নিলে ব্যবস্থা : ডিবি

২৭ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

যদি কোনো বিশেষ অভিযোগ পাওয়া যায় যে ছিনতাই বা ডাকাতি হওয়ার পরও কোনো থানা মামলা নিচ্ছে না বা মামলা নিতে গড়িমসি করছে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। বিষয়গুলো আমরা মনিটরিং করছি। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান যুগ্ম-কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মাহবুব আলম।

এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা ও লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ ছিনতাইকারী চক্রের ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। ৬ ও ৮ এপ্রিল রাজধানীর হাজারীবাগ, চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও শাহবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- আবদুর রহমান শুভ, ইয়াছিন আরাফাত জয়, বাবু মিয়া, ফরহাদ, হৃদয় সরকার, আকাশ, জনি খান, রোকন, মেহেদী হাসান ওরফে ইমরান, মনির হোসেন, জুয়েল, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে মাইকেল, আজিম ওরফে গালকাটা আজিম, শাকিল ওরফে লাদেন, ইমন, রাজিব, রাসেল, মিন্টু মিয়া ওরফে বিদ্যুৎ, মাসুদ, তাজুল ইসলাম মামুন, সবুজ, জীবন, রিয়াজুল ইসলাম, মুন্না হাওলাদার, শাকিল হাওলাদার, ফেরদৌস ও আবুল কালাম আজাদ। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে লোহার রড, দা, ছোরা, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলম বলেন, রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই, মলম ও টানা পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। ডিবি পুলিশও বিশেষ করে ঢাকায় দস্যুতা, ছিনতাই-ডাকাতি ও চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। ডিএমপি কমিশনারের দিকনির্দেশনায় রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান-মলম পার্টির দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা পেশাদার ছিনতাইকারী, ডাকাত দলের সদস্য ও অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্টপেজে অবস্থান করে যে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তারা। পরে যাত্রীবেশে বাসে উঠে সুযোগ বুঝে টার্গেট করা ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক উপাদান প্রয়োগের মাধ্যমে অচেতন করে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে যায়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও রেকর্ড অনুসন্ধান করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এক প্রশ্নে মাহবুব আলম বলেন, ঢাকায় ডিজিটাল ডিভাইস বেশি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাস্তায় যারা ছিঁচকে চোর-ছিনতাইকারী আছে, তারা মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এদের অধিকাংশই মাদকসেবী। তিনি বলেন, ‘এবার আমরা পরিকল্পনা করেছি, যারা চোরাই মোবাইলের কারবার করেন, আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বিক্রি করেন, যাদের মাধ্যমে এসব হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করব। কারণ চক্রটির সদস্যদের বিরুদ্ধে শুধু ছিনতাই মামলা নয়, মাদক মামলাও রয়েছে। শুধু দেশীয় মার্কেট কিংবা শপিং মলগুলোতে নয়, চোরাই মোবাইল পাচার হচ্ছে। যেমন ছিনতাই হওয়া আইফোনগুলো যাচ্ছে দেশের বাইরে।’

সর্বশেষ খবর