সোনারগাঁয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল থেকে দুই দিনব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে হিন্দুধর্মাবলম্বীর হাজারো ভক্ত লাঙ্গলবন্দে সমবেত হয়েছেন। এ কারণে গতকাল সকাল থেকে মহাসড়কে সোনারগাঁয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দিনভর যানজটের কারণে বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মহাসড়ক থেকে শাখা রোড পর্যন্ত যানজট লেগে গেছে। গত রাতে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসবে যোগ দিতে হাজারো হিন্দুধর্মাবলম্বী লাঙ্গলবন্দে সমবেত হয়েছেন। ফলে সকাল থেকেই কাঁচপুর থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় যানজট থাকায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী হেঁটে, বিকল্প পথে রিকশা ও অটোরিকশায় গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
তিতাস বাসের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বললে জানান, ‘গুলিস্তান থেকে কুমিল্লা যেতে ২ ঘণ্টার রাস্তা এখন পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় মদনপুরে রয়েছি।’ এদিকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। চিটাগাং রোড থেকে মোগরাপাড়ার ভাড়া ২৫ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা নিচ্ছে।নাফ গাড়ির হেলপার আবদুর রউফ জানান, তীব্র যানজটের কারণে তাদের গাড়ি সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছে না। ফলে তারা ভাড়া বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে দীর্ঘ সময় সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলাম। শত শত গাড়ি দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর ১ কিলোমিটার যেতে পেরেছি।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান জানান, স্নানোৎসবের কারণে সকাল থেকে এ মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার পর হেঁটে গন্তব্যে রওনা করেন। তবে দুপুরের পর যানজট কিছুটা কমতে থাকে।