দেশে তিন ভাগের এক ভাগ মুগ ডাল আবাদ হয়েছে পটুয়াখালীতে। উৎপাদন সহায়ক জমির উর্বরতা, ভালো ফলন ও বেশি দাম পাওয়ায় রবি মৌসুমে পটুয়াখালীর বেশির ভাগ জমিতেই মুগ ডাল চাষে ঝুঁকে পড়ছে কৃষকরা। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে পটুয়াখালীর উৎপাদিত মুগ ডাল দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে পটুয়াখালীর মুগ ডাল। কর্মসংস্থানও হচ্ছে অনেকের। চলতি মৌসুমে মুগের ভালো ফলন পেতে হালকা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে কৃষক। পটুয়াখালীর খামারবাড়ী সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হিসেবে এবার পটুয়াখালী জেলায় ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে মুগডাল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হলেও চাষ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ১৩২ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বাউফল উপজেলায়ই আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। জেলায় মোট মুগডাল উৎপাদনের দুই তৃতীয়াংশ হয় বাউফলে। বিগত মৌসুমে হেক্টর প্রতি ১ হাজার কেজি মুগডাল পাওয়া গেলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রা হেক্টর প্রতি উৎপাদিত ১ হাজার ২০০ কেজি ছাড়িয়ে যাবে। গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে মুগডাল চাষ করা হয়েছে। অল্প খরচ আর কম পরিশ্রমে দুই-আড়াই মাসে মুগডালের ফলন ঘরে তোলা যায়। বাজারে মুগডালের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা এই ডাল চাষে দিন দিন উৎসাহিত হচ্ছে। বারী-৬ জাতের মুগডাল আকারে একটু বড় হওয়ায় জাপানিরা এর অঙ্কুরোদ্গম করে খায়, তাই জাপানে রপ্তানি হয়ে থাকে।
সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া এলাকার কৃষক মো. আতিক হাওলাদার বলেন, এ বছর দুই একর জমিতে মুগডাল আবাদ করেছি। একর প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। এক পসলা বৃষ্টি হলে গাছগুলো দ্রুত বেড়ে উঠবে এবং শক্তিশালী হবে, ভালো হবে ফলন। কৃষি অধিদফতর পটুয়াখালীর উপপরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, পটুয়াখালী জেলায় চলতি রবি মৌসুমে মুগডাল আবাদ হয়েছে ৯৭ হাজার ১৩২ হেক্টর জমিতে। এতে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। জাপানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুগডাল রপ্তানি হয়। চলতি মৌসুমে উৎপাদন গত মৌসুমের চেয়ে অনেক বেশি হবে।