শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে ভ্যান থেকে প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় অস্ত্রের মুখে ভ্যান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দশম শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কাচুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বৃহস্পতিবার সকালে পুঠিয়া থানায় মামলা করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ওই ছাত্রী সকালে কাচুপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেখানে ইফতার শেষে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিল। চারজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভ্যানটি থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তারা ভ্যানের সব যাত্রীকে তাড়িয়ে দেয়। ওই চারজনের একজন মেয়েটিকে পাশের কলা খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি স্থানীয় একটি বাজারে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া থানায় নিয়ে আসেন।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই ছাত্রীর মা মামলা করেছেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

ফেনীতে কিশোর ধর্ষণের ঘটনায় ওসির গাড়িচালক গ্রেফতার : ফেনী প্রতিনিধি জানান, ফেনীতে অবৈধ মালামাল বহন করার অজুহাত দেখিয়ে এক কিশোরকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মো. ইউনুস নামে ফেনী মডেল থানার ওসির গাড়িচালককে। বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর রাতে বরখাস্ত করা হয়। মামলার বিবরণীতে ভুক্তভোগীর মা অভিযোগে বলেন, তার ছেলে শহরের একটি দোকানে চাকরি করে। সে গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে দোকান বন্ধ করে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে রামপুরে তার বাড়ি যাওয়ার পথে ফেনী মডেল থানার ওসির গাড়িচালক ইউনুস তাকে আটক করে। ইউনুস তাকে বলে তোর কাছে অবৈধ মালামাল আছে। তাকে আটকের পর একই এলাকার নাইট হোল্ড নামে একটি হোটেলে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ২৪ ডিসেম্বর তাকে আবার খবর দিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে থানার গাড়িতেই ধর্ষণ করে। চলতি বছরের ৫ মার্চ ইউনুস তাকে নতুন একটি মোবাইল সেট উপহার দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তার নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী নিয়ে যায়। সেখানে বাড়ির একটি কক্ষে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরটি উপহারের সেই মোবাইল সেটটি অন্যত্র বিক্রি করে দিলে ইউনুস ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল সেটটি চুরি হয়েছে মর্মে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরে মোবাইল সেটটি পুলিশ উদ্ধার করলে কিশোরের মা ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারেন এবং এ বিষয়ে ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন বলেন, ঘটনায় তদন্তপূর্বক সত্যতা পেয়ে আসামি ইউনুসকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর