শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

নান্দনিক স্থাপনা স্বর্ণ মন্দির

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

নান্দনিক স্থাপনা স্বর্ণ মন্দির

নান্দনিক স্থাপনা বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা। সোনালি রঙের এ প্যাগোডাকে স্থানীয়রা বলেন স্বর্ণ মন্দির। কুমিল্লার নব শালবন বিহারের পাশের বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। নব শালবন বিহার কুমিল্লা নগরীর কোটবাড়ী শালবন বিহার মাঠের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা মূলত বৌদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনালয়। শান্তি প্যাগোডার সোনালি রঙের ডিজাইন আর বুদ্ধ মূর্তিতে সূর্যের আলো পড়ে চারপাশ ঝলমল করে উঠে। পাশে রয়েছে বর্ণিল ফুলের মেলা। নব শালবন বিহারের সূত্রমতে, ১৯৯৫ সালে দেড় একর ভূমির ওপর নব শালবন বিহার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে ধর্মীয় উপাসনালয়, অনাথ আশ্রম, অতিথিশালা স্থাপন করা হয়। তার পাশে ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যক্তির দানে বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা নির্মাণ করা হয়। বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১৮ কোটি টাকা। এর ওপরে ওঠার তিন দিকে সিঁড়ি রয়েছে। উঠার মুখে রয়েছে সোনালি রঙের নাগরাজের প্রতিকৃতি। দ্বিতীয় তলায় পূর্ব পাশে বড় আকারের বুদ্ধ মূর্তি। দ্বিতীয় তলায় উপাসনালয়। তৃতীয় ধাপে চার পাশে চারটি মূর্তি। সেগুলো শ্রীলঙ্কান, থাইল্যান্ড, জাপানিজ ও গান্দারা (ভারত) অঞ্চলে প্রচলিত মূর্তির আকৃতিতে তৈরি। তার ওপরের ধাপে চারটি পিতলের চূড়া। সবার ওপরে পিতলের বড় চূড়া। সেটির ওজন পাঁচ টন, আনা হয় থাইল্যান্ড থেকে। দরজায় করা হয়েছে থাই গাছের কাঠের নকশা। ফি দিয়ে দর্শনার্থীরা বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা দেখতে আসেন। নব শালবন বিহারে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ব শান্তি প্যাগোডায় শেষ বিকালের আলো ছড়িয়ে পড়েছে। সোনালি রঙের নকশা আর স্থাপনায় আলো পড়ে বর্ণিল পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব শান্তি প্যাগোডার উত্তর পাশে বর্ণিল ফুলের মেলা। উপাসনালয় হওয়ায় প্রবেশের পর দর্শনার্থীরা জুতা খুলে আঙিনায় প্রবেশ করছেন। দর্শনার্থীদের মাঝে বৌদ্ধ ছাড়াও রয়েছে মুসলিম, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।

নব শালবন বিহারে ঘুরতে আসা কামাল হোসেন বলেন, শালবন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতি জাদুঘরের পাশে বিশ্ব শান্তি প্যাগোডার স্থাপন নতুন সংযোজন। দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে। নব শালবন বিহারের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শ্রীমৎ শীলভদ্র মহাথের বলেন, বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। এখানের অনাথ আশ্রমে ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৪০ জন শিক্ষার্থীর খরচ চলে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়। আরও সহযোগিতা পেলে অনাথ আশ্রম ভালো ভাবে চালানো সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর