বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

কৃষ্ণচূড়া এনে দিচ্ছে শিল্পের দ্যোতনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

কৃষ্ণচূড়া এনে দিচ্ছে শিল্পের দ্যোতনা

গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ আর গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হলেও দৃষ্টিনন্দন ফুলে ফুলে প্রকৃতি সাজাতে এ ঋতুর জুড়ি নেই। এ জন্য বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হলেও অনেকের চোখে গ্রীষ্ম হচ্ছে পুষ্প উৎসবের ঋতু। এই গ্রীষ্মের ফুল হিসেবে রাধাচূড়া, সোনালু বা জারুল ফুলের সৌন্দর্যও কম নয়। তবে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উদ্ভাসের কাছে যেন ফিকে হয়ে যায় অন্য সব ফুলের রং।

তপ্ত গ্রীষ্মে প্রকৃতি যখন প্রখর রোদে পুড়তে শুরু করে, কৃষ্ণচূড়া তখন জানিয়ে দেয় তার আগমন বার্তা। ঠিক তেমনিভাবে গ্রীষ্মের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় এখন ডানা মেলেছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া। দেখে মনে হয় এ যেন কৃষ্ণচূড়ায় রাঙানো শহর। সূর্যের সবটুকু উত্তাপ যেন কেড়ে নিয়েছে রক্তলাল এই কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে দেখলে মনে হয় গাছগুলোতে যেন আগুন লেগেছে।

গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদের মাঝে কখনো দমকা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে নজরকাড়া এসব ফুল। যা চলতি পথে হঠাৎ যেন পথিকের চোখে এনে দিচ্ছে শিল্পের দ্যোতনা। মুগ্ধ দৃষ্টিতে সে সৌন্দর্য উপভোগ করছে সবাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া এলাকায় তাপসী রাবেয়া হল ফটকের ডানে ডালপালা ছড়ানো কৃষ্ণচূড়া গাছটির শাখায় শাখায় রক্তবর্ণ ফুলের সমাহার। এ ছাড়া রোকেয়া হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা হলসহ প্রায় প্রতিটি হলের সামনে ফোটা কৃষ্ণচূড়া রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে বহুগুণে। রাজশাহীর পদ্মাপাড় হয়ে জেলা প্রশাসকের বাংলো সড়কে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। ঘোষপাড়া মোড়ের কৃষ্ণচূড়া যেন হাতছানি দিয়ে গাছগুলোতে আগুন লাগা সৌন্দর্যের আভাস দিচ্ছে। রাজশাহীর প্রখর রোদে পুড়ে জানান দিচ্ছে তার সৌন্দর্যের বার্তা। প্রকৃতিতে নীল আকাশের ক্যানভাসে জ্বলছে গাঢ় রক্তিম রং, এ যেন লাল রঙের এক মায়াবী ক্যানভাস।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর