শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

চাঁদপুরে অধিগ্রহণের জমির দাম ২০ গুণ বৃদ্ধির চেষ্টা : দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদপুর জেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খান চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয় সংস্থাটির সচিব সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

দুদক সচিব বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসন জমির মূল্য নির্ধারণ করবে এমন সময় বিষয়টি ধরা পড়ে যে, চেয়ারম্যান    সেলিম খান ১৩৯টি জমির দলিল বেচা-কেনার যে মূল্য দেখিয়েছেন তা সরকারের নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। মাহবুব হোসেন বলেন, জমির মূল্যের তারতম্য প্রকাশ হওয়ার পর সেলিম চেয়ারম্যান জমির মৌজা মূল্য বাড়ানোর যে চেষ্টা বা পরিকল্পনা করেছিলেন সেটি আর সফল হয়নি। এতে সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে মেঘনা নদীতে প্রায় ২০০ ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত নির্বিচারে বালু উত্তোলন করে অননুমোদিতভাবে বিক্রি করে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ-এর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গত ৬ এপ্রিল চাঁদপুরে অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতাও পায় দুদক। অভিযানকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ ও মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছেন দুদক সচিব।

সর্বশেষ খবর