শিরোনাম
শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবি

নিখোঁজ এক শিশুর লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপকূলের কুমিরা ঘাট থেকে প্রতিকূল আবহাওয়ায় ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোট সাগরে উল্টে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া যমজ দুই বোনসহ তিন শিশুর মধ্যে আদিফার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকাল সোয়া ৯টার দিকে সন্দ্বীপ থানাধীন উড়িরচর ইউনিয়নের সাগর উপকূল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে কুমিরার গুপ্তছড়া ও মাইটভাঙা ঘাটের মাঝামাঝি স্থানে স্পিডবোট উল্টে নুসরাত জাহান আনিকা (১৩) নামে এক শিশু নিহত ও তিন শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর গতকাল আদিফার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুই শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।    

সন্দ্বীপ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার কিরিটি রঞ্জন বড়ুয়া বলেন, গুপ্তছড়া ঘাট থেকে  ২৫ কিলোমিটার দূরে উড়িরচর এলাকায় লাশ ভাসার খবর পেয়ে সেটি উদ্ধার করা হয়। লাশটি সন্দ্বীপ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।

জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত স্পিডবোটে ২০ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ হয় পানিতে ডুবে যাওয়া নুসরাত জাহান আনিকার ছোট দুই যমজ বোন ইসরাত জাহান আদিফা ও ইসমত জাহান আলিফা। তারা সন্দ্বীপ মগধরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মমতাজ সুকানির বাড়ির মো. আলাউদ্দিনের মেয়ে। তাছাড়া সৈকত নামে ছয় বছর বয়সী এক শিশুও নিখোঁজ আছে। সন্দ্বীপ উপকূলে দুর্ঘটনার পর বড় বোন আনিকার লাশ পাওয়া গেলেও যমজ দুই বোন আদিফা ও আলিফার সন্ধান মেলেনি। মায়ের হাত থেকেই তারা ভেসে যায়। আনিকা স্থানীয় মগধরা স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। নিখোঁজ দুজনই সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং মগধরা সকিনা ওয়াজিউল্লাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। হতভাগা তিন সন্তানের জনক আলাউদ্দিন চার দিন আগে ওমান গেছেন। তাকে বিদায় দিতে চট্টগ্রাম এসেছিলেন তারা। পরে নগরীর বহদ্দারহাটে নানাবাড়িতে কয়েক দিন বেড়ানো শেষে সন্দ্বীপে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে।

সর্বশেষ খবর