রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকায় সব পত্রিকার দ্বিগুণ বিক্রি হয় বাংলাদেশ প্রতিদিন

আবদুর রহিম বুলু, সিটি সুপারভাইজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় সব পত্রিকার দ্বিগুণ বিক্রি হয় বাংলাদেশ প্রতিদিন

পত্র-পত্রিকা বিতরণকারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সিটি সুপারভাইজার আবদুর রহিম বুলু বলেছেন, তাদের সমিতির মাধ্যমে ঢাকা শহরে ৮২ হাজার ৬৫০ কপি দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয়। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ প্রতিদিনই বিক্রি হয় ৫১ হাজার কপি। বাকি সব পত্রিকা মিলে বিক্রি হয় ৩১ হাজার ৬৫০ কপি। সব পত্রিকা মিলে যা বিক্রি হয়, শুধু বাংলাদেশ প্রতিদিন বিক্রি হয় তার প্রায় দ্বিগুণ।

তিনি বলেন, আমার মতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মেকআপ, হেডিং, সংক্ষেপে অনেক বেশি সংখ্যক নিউজ দেওয়া, নেতিবাচক সংবাদের পাশাপাশি ইতিবাচক সংবাদ প্রচার, সফলতার গল্প, আকর্ষণীয় রকমারি ও খেলার পাতা, সব রাজনৈতিক দলের সংবাদ সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ, ধর্মীয় কলাম ও মফস্বলের খবরগুলো গুরুত্ব সহকারে প্রকাশের পাশাপাশি সময়মতো পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কারণেই পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছে। তিনি জানান, তাদের সমিতির অধীনে ২৬টি বিক্রয়কেন্দ্র ও আড়াই হাজার হকার রয়েছে। ৪৯টি জাতীয় দৈনিক বিক্রি করেন তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন ৫১ হাজার কপি, কালের কণ্ঠ ১১ হাজার ৫০০ কপি, প্রথম আলো ৩ হাজার কপি, আমাদের সময় ৩ হাজার কপি, দেশ রূপান্তর আড়াই হাজার কপি, আজকের পত্রিকা ২ হাজার ২০০ কপি, যুগান্তর ৯০০ কপি, সমকাল ৪৫০ কপি, ইত্তেফাক ৩০০ কপি ও অন্যান্য সব পত্রিকা মিলে বিক্রি হয় ৮ হাজার কপির মতো। আবদুর রহিম বুলু বলেন, একটা সময় বাংলাদেশ প্রতিদিন রাস্তা-ঘাটে, বাসে, রেলস্টেশনে বেশি বিক্রি হতো। এখন অফিস-আদালত, বাসাবাড়ি, বিশ্ববিদ্যালয়, সেলুন, লন্ড্রি, মুদি দোকান, চায়ের দোকান- সব জায়গায় বাংলাদেশ প্রতিদিন রাখে। সময়মতো পত্রিকাটি এজেন্ট, বিক্রয়কেন্দ্র ও হকারদের কাছে চলে আসায় দ্রুত পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এসব কারণে অন্য কোনো পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনের ধারেকাছেও আসতে পারছে না। এ ছাড়া অন্যান্য পত্রিকা ফেরত আসলেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের কোনো কপি ফেরত আসে না।

বুলুর মতে হকারদেরও ভালোবাসা ও দোয়া আছে এই পত্রিকাটির প্রতি। কারণ, হকারদের এখন দুর্দিন চলছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য খাতের তুলনায় আয় কমে যাওয়ায় অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মালিকপক্ষ বসুন্ধরা গ্রুপ নানা সাহায্য-সহযোগিতা করে হকারদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। নিয়মিত চাল, ডাল, আলু, তেল, নগদ অর্থসহ নানা সহযোগিতা করছেন। ঈদ বোনাস দিচ্ছেন। শীতে কম্বল দিচ্ছেন। কোনো হকারের মৃত্যুতে তার পরিবারকে ১ লাখ টাকা সহযোগিতা করছেন। ভর্তুকি দিয়ে ২২ হাজার পরিবারের ২ লক্ষাধিক মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

তবে প্রশাসনিক হয়রানির কারণেও অনেক হকার এই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি। আবদুর রহিম বুলু বলেন, ঢাকায় হকারদের পত্রিকা নিয়ে বসতে দেয় না পুলিশ। ধরে নিয়ে যায়। স্টল থেকে পত্রিকা ফেলে দেয়। সম্প্রতি তেজগাঁও থানার পুলিশ পত্রিকা বিক্রির সময় দুই হকারকে ধরে চালান দিয়ে দেয়। ভিআইপি সড়কে বাসে পত্রিকা বিক্রি তাদের অপরাধ! সংবাদপত্র কি খারাপ কিছু? হকার হচ্ছে চলন্ত বিজ্ঞাপন। এরা শুধু নতুন পাঠকই সৃষ্টি করে না, রাস্তাঘাটে বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে।

 

সর্বশেষ খবর