বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

তেঁতুলতলা মাঠে চলছে নির্মাণ কাজ

সরকার বললে বন্ধ করে দেব : ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন নির্মাণ করছে পুলিশ। মাঠের ভিতরে ও বাইরে অবস্থান করছেন অনেক পুলিশ সদস্য। এর আগে, ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ করে আটক হন স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দা রত্না ও তার কলেজপড়ুয়া ছেলে ইসা আবদুল্লাহ সাদেকিন পিয়াংশুক। এলাকাবাসী, বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্টজনরা বিক্ষোভ করলে ১২ ঘণ্টা আটকে রাখার পর কলাবাগান থানা পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকালও একাধিক কর্মসূচি পালন করছে নাগরিক সমাজ। তেঁতুলতলা মাঠে ‘তেঁতুলতলা মাঠ সুরক্ষা’ আন্দোলনের সমন্বয়ক সৈয়দা রত্না গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়নি এমন বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। জানতে চাইলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বলেন, এটা থানার জায়গা, এখানে নির্মাণ কাজ চলছে। ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তেঁতুলতলা মাঠে যে থানা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে যদি সরকার নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কাজ বন্ধ করে দেবে। পুলিশ কোনো ব্যক্তি কিংবা কোনো সংস্থার জমি দখল করে থানা ভবন নির্মাণ করছে না। মো. ফারুক হোসেন বলেন, তেঁতুলতলা মাঠে যে থানা নির্মাণ করা হবে সেই জমিটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জমিটির মালিক। এখানে থানা ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়ার পর সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি অধিগ্রহণ কমিটি সব নিয়ম ও আইনকানুন মেনে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে এই জমিটি অধিগ্রহণ করা হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসন জমিটি অধিগ্রহণ করে। তারা সরেজমিনে বুঝিয়ে দেয় থানা নির্মাণের জন্য। জমির বিনিময়ে ডিএমপি ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ বাবদ সরকারকে দেয়। এরপর সরকার থানা নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়। অর্থ বরাদ্দের পর থানা ভবনের প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই জমিটি কোনো ব্যক্তি অথবা সংস্থার নয়। বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদের কারণে জনসাধারণের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে যে, তেঁতুলতলা মাঠটি দখল করে থানা নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল। এটি সরকারি জমি, সরকার অধিগ্রহণ করে ডিএমপিকে দিয়েছে কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণের জন্য। পুলিশ জনগণের বন্ধু। মাঠের আশপাশের বাসিন্দারা চাচ্ছেন মাঠটিতে কোনো ভবন যেন নির্মাণ করা না হয়, শিশুরা মাঠে খেলাধুলা করুক। জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক বলেন, খেলার মাঠের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা পুলিশ অস্বীকার করছে না। ঢাকা মেট্রোপলিটনের মধ্যে কোথায় খেলার মাঠ থাকবে বিষয়টি পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত না। সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় খেলার মাঠ হবে। তেঁতুলতলা মাঠের পাশেই কলাবাগান খেলার মাঠ রয়েছে। মাঠটি উন্মুক্ত, সেখানে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারে। খেলাধুলার পাশাপাশি সেখানে পূজা অর্চনাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর