বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

কমলাপুর স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

কমলাপুর স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়

অগ্রিম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনেও কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। চতুর্থ দিনের মতো গতকালও বিক্রি হয়েছে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট। টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন কাউন্টার থেকে শুরু হয়ে চলে গেছে স্টেশনের বাইরে। চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রেলকর্মীদের।

গতকাল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ১৬ কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে, এসব কাউন্টারের সবগুলোতে মানুষের দীর্ঘ সারি। মানুষের ভিড়ের কারণে ট্রেনে চলাচল করা সাধারণ যাত্রীদের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দিনাজপুরগামী ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশী নাজমুস সাকিব বলেন, ‘সকাল ঠিক ৮টায় সহজের ওয়েবসাইটে টিকিটের জন্য ঢুকতে গিয়েও পারিনি। পনেরো মিনিট পরে যখন ঢুকি তখন দেখি টিকিট শেষ। এরপর চলে এলাম এখানে। সামনে এখনো ৭০-৭৫ জন। কাউন্টার পর্যন্ত যেতে টিকিট থাকবে কি না তা নিয়েই চিন্তিত। কাউন্টার থেকে এক ব্যক্তি চারজনের টিকিট কাটতে পারছেন। তবে তার জন্য প্রত্যেক যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে আগে বিভিন্ন সময় টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জন্য এবার কালোবাজারি বন্ধে টিকিট কেনার সময় যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি কাউন্টারে দেখাতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, আসলে দুই বছর পর মানুষ ঈদে বাড়িতে যাচ্ছে। তাই এবার যাত্রীদের মাঝে উৎকণ্ঠা একটু বেশিই। আর সে জন্যই কাউন্টারগুলোতে টিকিট প্রত্যাশীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের স্বার্থেই টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদ দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে যাত্রীদেরও ধৈর্য ধরে আমাদের সাহায্য করতে হবে। এদিকে ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়ার চিন্তা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) সরদার শাহাদাৎ আলী বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং টিকিট চালু নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে আগের মতো করে আপাতত স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে না। মোট আসনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হতে পারে। সব সময়ের জন্য নয়, আপাতত ঈদকেন্দ্রিক পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’ এবার ঢাকার কমলাপুর স্টেশনসহ পাঁচটি স্থানে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ঈদযাত্রার প্রতিটি ট্রেনে নারী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে আলাদা কোচ সংযোজন করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর