রবিবার, ১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বাজিমাত হাইব্রিড বেগুনে

মেহেরপুর প্রতিনিধি

বাজিমাত হাইব্রিড বেগুনে

মেহেরপুরে হাইব্রিড বারি-৪ জাতের বেগুন চাষ করে বাজিমাত করেছে সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের কয়েকজন কৃষক। মেহেরপুর বিএডিসি থেকে বীজ সংগ্রহ ও পরামর্শ নিয়ে জেলার চাষিরা হাইব্রিড-৪ জাতের বেগুন চাষে দ্বিগুণ ফলন পাচ্ছেন। পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম, সার ও কীটনাশকের প্রয়োজনীয়তাও স্বল্প। দেশি বেগুনের অটুট স্বাদ, আকারে বড়, ধরেও বেশি চাষাবাদে খরচ অল্প। ফলে জেলার বিভিন্ন জায়গায় হাইব্রিড বারি-৪ জাতের বেগুন চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেকেই। হাইব্রিড জাতের বেগুনে স্বাদ ও পুষ্টি বেশি বলে দাবি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের। সেই সঙ্গে ক্রেতারা বলছেন হাইব্রিড জাতের এই বেগুনের স্বাদ দেশি বেগুনের মতো। কৃষি বিভাগ মনে করছে বেগুন চাষের নতুন সম্ভাবনাময় জাত বারি-৪। বিএডিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, এ জাতের বেগুন চাষে যেমন চাষিরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা বিষমুক্ত দেশি বেগুনের স্বাদ পাচ্ছেন। সারা বছরই হাইব্রিড-৪ বেগুন আবাদ হওয়ায় অনেক চাষি এ বেগুন চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। মেহেরপুরের আমঝুপি গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম। তিনি তার নিজ জমিতে দেশি বেগুনের আবাদ করতেন। একদিকে পোকা মাকড় ও পাখির আক্রমণ, অন্যদিকে ওজনে কম। খরচ বাদ দিয়ে লাভ করা কঠিন হয়ে পড়ত। মেহেরপুর বিএডিসির বীজ প্রত্যয়ণ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে হাইব্রিড বারি-৪ জাতের বেগুন আবাদ করেছিলেন। ছয় মাস ধরে তিনি তার জমি থেকে বেগুন সংগ্রহ করেছেন। এক বিঘা জমিতে ছয় মাসে ২ থেকে ৩ টন বেগুন পেয়ে মোটা দাগে আয় করেছেন। এ বছরেও তিনি ২ বিঘা জমিতে এজাতের বেগুনের আবাদ করেছেন। তার বেগুন খেতের প্রতিটি গাছে ঝুলছে বেগুন। একেকটি বেগুনের ওজন এক থেকে দেড় কেজি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর