রবিবার, ১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

সক্রিয় চাঁদাবাজরা গ্রেফতার ৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্রের ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সংস্থাটি বলছে, এরা বিভিন্ন স্থানে সবজি ও ফলের দোকান, ফুটপাথের অস্থায়ী দোকান, লেগুনা স্ট্যান্ড এবং মালবাহী গাড়ি থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছিল। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে তারা হত্যার হুমকি দিত। এ ছাড়া ঈদের কেনাকাটার জন্য বের হওয়া সাধারণ মানুষের টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নিত। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিইও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, রাজধানীর সবুজবাগ, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, তেজগাঁও, মুগদা, শাহবাগ, মতিঝিল, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর ও পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্রের হোতাসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৩ জন চাঁদাবাজ ও আটজন ছিনতাকারী। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ১ লাখ ২ হাজার ৫৩৩ টাকা, ৫৩টি মোবাইল ফোন,  ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত নয়টি সুইচ গিয়ার, ১০টি এন্টিকাটার, ১০টি ক্ষুর, সাতটি চাকু, দুটি চাইনিজ কুড়াল, চারটি রাম দা জব্দ করা হয়।

চক্রের গ্রেফতার হওয়া সদস্যরা হলো- সোলাইমান, নুর হোসেন, শাহজালাল, আলী হোসেন, আরিফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মাসুম, শিবলু, মোক্তার হোসেন, মুন্না, সাইমন, রনি, আবদুল মান্নান, বাবুল হাওলাদার, আবুল কাশেম, নুরুল হক, রাকিব খান, মাসুদ, জনি, আকাশ, নাইম, মাজাহারুল ইসলাম ওরফে তামিম, রাকিব, নাইম বেপারী, সজীব, বাবুল হোসেন,  ইসমাঈল, রবিন, সেলিম, ইয়াসিন আরাফাত, নুর হোসেন, মহব্বত হোসেন, লিটন, আরিফ, সাব্বির হোসেন জুবায়ের, হেমায়েত হোসেন মামুন, ফারুক, শাহ পরান, কামরুল হাসান, মিজান ও সেলিম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, চাঁদাবাজ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সবজি ও ফলের দোকান, ফুটপাথের অস্থায়ী দোকান, লেগুনাস্ট্যান্ড এবং পণ্যবাহী গাড়ি থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এরা ফুটপাথের দোকানদারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা হারে চাঁদা আদায় করে। সুযোগ পেলেই চক্রের সদস্যরা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিত। ইফতারের সময় এবং সাহরির পর তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, রাজধানীর খিলগাঁও মালিবাগ রেলগেট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালবার্ট রোড, নাসিরের টেক, হাতিরঝিল, শাহবাগ, লালবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং পল্টন মোড়, গোলাপ শাহর মাজার ক্রসিং, হাই কোর্ট ক্রসিং, আবদুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ ও বাসাবো ক্রসিং এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত এসব ছিনতাইকারীর তৎপরতা বেশি দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর