রবিবার, ১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

এফবিআইর বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

আদালতের নির্দেশ ব্যতীত অর্থাৎ গোপনে এফবিআই এক বছরে ৩৪ লাখ আমেরিকানের ই-মেল, টেক্সট এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের ওপর নজরদারি চালিয়েছে। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অফিসের পরিচালক শুক্রবার উদ্বেগজনক এ তথ্য প্রকাশকালে উল্লেখ করেছেন, সন্ত্রাসীদের হুমকির আভাস সম্পর্কিত যোগাযোগের আলামত পেয়েই এফবিআই নজরদারি চালায় গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে। আর এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ‘দ্য ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিলেন্স অ্যাক্ট’ অনুযায়ী। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জবাবদিহিতার আওতায় বার্ষিক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণ/ প্রতিরোধকল্পে এফবিআই তৎপরতার সময় এমন নজরদারির ঘটনা ঘটলেও আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এটা হচ্ছে নাগরিকের ব্যক্তিজীবনের ওপর হামলার মতো আচরণ। দুই-একটি ঘটনা হলে কিছু বলার ছিল না।

এমন ব্যাপক নজরদারিতে সবাই উদ্বিগ্ন। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নে ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রজেক্টের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি অ্যাশলি গোরস্কি বলেন, গোপনে অথবা পেছনের দরজা দিয়ে নাগরিকদের ওপর তল্লাশির ঘটনাগুলো নিতান্তই যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর লঙ্ঘন। এর ফলে সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করা হয়েছে। এখন সময় হচ্ছে কংগ্রেস সোচ্চার হওয়ার।

নাগরিকের স্বাধীনতা সুরক্ষায় এহেন নজরদারি বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। চতুর্থ সংশোধনীতে ব্যক্তি অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এফবিআই এহেন তল্লাশি/নজরদারি চালিয়েছেন দ্য ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিলেন্স অ্যাক্টের ৭০২ সেকশন অনুযায়ী। কংগ্রেস নবায়ন না করলে এই বিধির মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে সামনের বছরের শেষে। 

ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অফিসের এই রিপোর্টে অবশ্য এফবিআইয়ের এই নজরদারিকে বেআইনি বলা হয়নি। কিংবা তারা ভুল করেছে বলেও উল্লেখ নেই। তবে এই রিপোর্ট জনমনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি করেছে এবং এ ব্যাপারে কংগ্রেসকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে।

সর্বশেষ খবর