শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল

ঢাকা চিড়িয়াখানায় ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীর ঢল - রোহেত রাজীব

করোনার কারণে দুই বছর ঈদের আনন্দ ছিল অনেকটাই ম্লান। সংক্রমণ কমায় আবার যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঈদ উৎসব। দীর্ঘদিন পর এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ফের জমে ওঠে সারা দেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। মঙ্গলবার ঈদের দিন রাজধানীসহ সারা দেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ছুটি শেষে গতকাল অফিস খুললেও লোকে লোকারণ্য ছিল বিভিন্ন পর্যটন স্পট। অনেকেই বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে বাড়িয়ে নিয়েছেন ঈদের ছুটি।

ঈদের দিন সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি কিছুটা বাগড়া দিলেও দুপুর নাগাদ রোদের দেখা মেলে। এরপরই ভিড় বাড়তে থাকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। রাজধানীতে কচিকাঁচার হৈ হুল্লুড়ে মুখর ছিল জাতীয় চিড়িয়াখানা,  বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, শিশুমেলা, থিমপার্ক টগি ওয়ার্ল্ড, লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, দিয়াবাড়িসহ সব বিনোদন কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থান। স্থানীয়রা ছাড়াও ঢাকা থেকে অনেক মানুষ ভিড় জমান গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আশুলিয়া এলাকার ফ্যান্টাসি কিংডমসহ আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। খোলা আকাশের নিচে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে উত্তরা দিয়াবাড়ি, হাতিরঝিল, পূর্বাচলে ছুটে যান অনেকেই। পূর্বাচলের বালু নদীতে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ভাড়া করে গান বাজিয়ে উৎসব করতে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে। কেউ আবার কাটিয়েছেন সুইমিং পুলে সাঁতার কেটে। অনেক সুইমিং পুল পুরো রমজান মাস বন্ধ থাকলেও ঈদের দিন থেকে ফের চালু হয়েছে। এদিকে ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র  নতুন করে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা হয়।

অনেকেই আবার ইলিশ খেতে ঢাকা থেকে গাড়ি হাঁকিয়ে দল বেধে ছুটে যান মাওয়ায় পদ্মার তীরে। মঙ্গল ও বুধবার বিকাল হাজারও প্রাইভেটকারের চাপে ঢাকা-মাওয়া সড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘমেয়াদি যানজট। বুধবার যশোর থেকে আসা মনিরুজ্জামান মাসুম বলেন, বিকাল ৫টায় লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিয়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি বাসের জন্য। শত শত প্রাইভেটকারের কারণে বাস ঘাট পর্যন্ত আসতেই পারছিল না। পুরো এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য। তবে ঘাট এলাকা পার হয়ে আবার রাস্তা ফাঁকা পেয়েছি। ঢাকায় ঢুকেছি রাত সাড়ে ১০টায়। এদিকে ঈদের দিন শ্যামপুর ইকোপার্কের রোলার কোস্টার থেকে ছিটকে পড়ে রাব্বি নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।

ঈদ আনন্দের প্রতিফলন দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে বন্ধু-বান্ধবী ও পরিজনসহ ছবি, সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন অনেকে। ঈদের পরদিন জাতীয় সংসদের সামনে মা, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে আসা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছিলাম- কবে করোনা দূর হবে। ফের কবে সবাই মিলে ঘুরেফিরে আনন্দ করে ঈদ উদযাপন করতে পারব। অবশেষে সেই দিন পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। ঈদের দিন মেহমান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আজ ঘুরতে বের হয়েছি।’’

ঈদের দিন থেকেই মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। সকাল থেকেই পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে আসতে থাকেন বিনোদনপ্রেমীরা। অতিরিক্ত মানুষের চাপে চিড়িয়াখানার প্রধান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফুটপাথ দিয়েও হাঁটাচলার সুযোগ ছিল না। গতকালও দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। রাজধানীতে সাধারণ আর মধ্যবিত্তের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া হাতিরঝিলে জনস্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো। সব বয়সী মানুষকে দেখা গেছে হাতিরঝিলে ভিড় জমাতে।

আমাদের সংবাদকর্মীদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী ঈদের ছুটিতে সারা দেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্য। তবে ছিল না স্বাস্থ্যবিধি।

চট্টগ্রাম : বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নেমেছে দর্শনার্থীর ঢল। চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল, বোট ক্লাব, ফয়স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, কর্ণফুলী সেতু, ওয়াটার ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, ভাটিয়ারি, সীতাকুন্ড ও মিরসরাইয়ের বিনোদন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে। পতেঙ্গা সৈকতে সাগরের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি অনেকে স্পিড বোট, ঘোড়ায় ওঠে আনন্দ উপভোগ করছেন। এ ছাড়া নগরের কাজীর দেউড়ির শিশুপার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স, কর্ণফুলী নদীর তীর, কাট্টলী সৈকত, সিআরবি, ওয়ার সিমেট্রি মুখর হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের সমাগমে। তবে বেশি দর্শনার্থী দেখা গেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়স লেক ও পতেঙ্গায়।

সাভার : বিনোদনপ্রেমীদের উপস্থিতিতে সাভার ও আশুলিয়ার থিম পার্ক, ফ্যান্টাসি কিংডম পার্কসহ বেশ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। সকাল থেকেই এসব পার্কে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। আশুলিয়ার থিম পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডমেও প্রবেশে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

সিলেট : ঈদের দিন থেকে সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, রাতারগুল, বিছানাকান্দি, পাংথুমাই, বিভিন্ন চা বাগান, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া উদ্যান, মাধবকু  জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওর, সুনামগঞ্জে শিমুল বাগান, নিলাদ্রি, টাঙ্গুয়ার হাওর ও হবিগঞ্জের সাতছড়ি উদ্যানসহ বিভাগের সবকটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় জমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস কোথাও মিলছে না সিট। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে জায়গা নেই পা ফেলার। রাস্তায় সারি সারি গাড়ি। এ সুযোগে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের চালকরাও বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাড়া। যারা আগে হোটেল বুকিং দিয়ে আসেননি তারা সিলেটে এসে পড়েছেন বিপাকে। কোথাও সিট না পেয়ে রাতযাপন করছেন হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, এবারের মতো পর্যটক সমাগম গেল ১০ বছরের মধ্যেও হয়নি।

খুলনা : ঈদে যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি কাটাতে খুলনায় নদীতীরে ভিড় করছেন শহরবাসী। ঈদের দিন দুপুরের পর বৃষ্টি থেমে গেলে নদীর তীরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেন উৎসবপ্রিয় মানুষ। নগরীর ভৈরব নদের তীরে ছয় নম্বর ঘাট, সাত নম্বর ঘাট, জেলখানা ঘাট, রূপসা নদীর তীরে রূপসা খেয়াঘাট, খানজাহান আলী সেতু এলাকায় মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এ ছাড়া নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক, জাতিসংঘ পার্কেও মানুষের ভিড় দেখা যায়। শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য খুলনা জাতিসংঘ শিশুপার্কে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বাগেরহাট : ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের সুন্দরবনের করমজল এবং বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) ষাটগম্বুজ মসজিদ, হজরত খানজাহান আলীর মাজার, চন্দ্রমহল ইকোপার্ক, বলেশ্বর নদীর বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীরা ঈদ আনন্দ উপভোগ করেছেন এসব ঐতিহাসিক স্থানসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে।

বরিশাল : ঈদের সরকারি ছুটি শেষ হয়ে গেলেও বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে এখনো। নগরীর উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু উদ্যান, বধ্যভূমি-কীর্তনখোলা তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন ও মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, আমতলা স্বাধীনতা পার্ক, বি এম স্কুল রোডের শহীদ কাঞ্চন উদ্যান, চৌমাথা লেকের পাড়, বিবির পুকুর পাড়, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত দপদপিয়া সেতু, বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর ও উজিরপুরের গুঠিয়া মসজিদসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো গতকালও ছিল লোকে লোকারণ্য। শিশু বিনোদন কেন্দ্র প্লানেট পার্ক, আমানতগঞ্জ শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু পার্ক ও সিটি শিশু পার্কের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

মৌলভীবাজার : ঈদে মৌলভীবাজার জেলায় দর্শনীয় স্থান, বিনোদন পার্ক, পর্যটন স্পট, বিভিন্ন চা-বাগান, হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৌলভীবাজারে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দিনভর ঘুরে বেড়িয়েছেন জেলার মাধবকু  জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেকসহ বিভিন্ন চা বাগানে।

টাঙ্গাইল : ঈদের ছুটিতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে যমুনার তীরে হাজারও দর্শনার্থীর ঢল নামে। পাশাপাশি মধুপুর গারো পাহাড়, মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া জমিদার বাড়ি, গোপালপুরের ১০১ গম্বুজ মসজিদ, আটিয়া মসজিদ, ধনবাড়ির নওয়াব প্লেস, ডিসি লেকে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।

নওগাঁ : ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরা উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অর্ধ শতাধিক ঐতিহাসিক স্থাপনা। ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য এসব স্থানে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

কক্সবাজার কুয়াকাটা : দেশের অন্যতম দুই পর্যটন স্পট কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ঈদের দিন থেকেই। অনেকেই ঈদ করেছেন সমুদ্র সৈকতে। বিদেশি পর্যটকের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। কুয়াকাটা ভূইয়া মার্কেটের সভাপতি মো. নিজাম জানান, করোনার দুই বছরে পর্যটকরা তেমন আসেননি কুয়াকাটায়। তবে এ বছর ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে।

শ্রীমঙ্গল : ঈদের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গল। টানা চার দিন ছুটি কাটাতে পর্যটকরা এসেছেন এখানে। এদিকে পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল রিসোর্ট মালিকরা। অধিকাংশ হোটেল রিসোর্ট আগামী ৭ মে পর্যন্ত বুক হয়ে আছে। পর্যটকরা সারা দিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন  চা বাগান, নীলকণ্ঠ চা কেবিন, বধ্যভূমি ৭১, বিটিআরআই চা গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বাইক্কাবিল ও কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে।

রাজশাহী : রাজশাহীতে ঈদের প্রথম সকাল ছিল ঝড়-বৃষ্টির। তবে বিকাল থেকে পরের দিনে অনুকূল আবহাওয়ায় পদ্মাপাড়ে দেখা গেছে জনস্রোত।    রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) কর্তৃপক্ষ পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পর নৈসর্গিক পদ্মাপাড় আরও মনোরম হয়ে উঠেছে। নগরীর মধ্যভাগে বড়কুঠি, লালনশাহ মুক্তমঞ্চ, পঞ্চবটি, আই-বাঁধ, টি-বাঁধ, শহীদ মিনার পদ্মাপাড় থেকে শুরু করে পশ্চিমে কোর্ট বুলনপুর, সাতবাড়িয়া থেকে শুরু করে পূর্বে জাহাজঘাট ফুলবাড়ী এলাকায় বিনোদনপ্রমী মানুষের জনস্রোত দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা : ঈদের পরের দুই দিন জেলা শহরের অদূরে মেহেরুন শিশুপার্কে ছিল দর্শনার্র্থীদের উপচেপড়া ভিড়। বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর ছিল অন্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোও।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ঈদের ছুটিতে শহরের ফারুকী পার্ক, তিতাস নদীর তীরবর্তী স্থান, আবি রিভার পার্ক, রসুলপুর, মেঘনা সেতু, ধরন্তীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলো বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। এসব স্থানে ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনোদনের জন্য তেমন কোনো আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র নেই। তাই যাই রয়েছে তাতেই সাধারণ মানুষ ছুটছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : ঈদে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে গড়ে ওঠা একমাত্র বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। গতকালও শহরের বটতলা হাট এলাকায় নির্মিত জোসনারা পার্ক, মহানন্দা সেতু, রাবার ড্যাম প্রকল্প এলাকা ও শেষ হাসিনা সেতু বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণায় ছিল মুখরিত।

মেহেরপুর : বৃষ্টির কারণে ঈদের দিন ঘরবন্দিই কাটাতে হয়েছে মানুষকে। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে মুজিবনগর কমপ্লেক্স, আম্রকানন, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র, স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন ম্যুরাল, শাপলা চত্বরসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ।

চাঁদপুর : একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র বড় স্টেশন মোলহেড ‘বঙ্গবন্ধু পার্ক’। এখানে তিন নদীর জলকেলি, বড় বড় লঞ্চের ছুটেচলা, ইলিশ ধরার দৃশ্য, বিকালের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সূর্যি মামার ডুবে যাওয়ার চমৎকার দৃশ্যও উপভোগ করা যায়। ইচ্ছা করলে ট্রলারযোগে বেশ কয়েকটি চরের কাশ ও ঘাসবন ঘুরে আসা যায়। ঈদের ছুটিতে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে জেলার ভিতর ও বাইরে থেকে হাজারও মানুষ ছুটে আসে।

সর্বশেষ খবর