শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বিধবাকে ধর্ষণ, চুল কেটে নির্যাতন

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের কালকিনিতে এক বিধবা নারীকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবক নুর আলম আকনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত নুর আলমের স্ত্রী পপি বেগম বিধবাকে শারীরিক নির্যাতন করে চুল কেটে দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর বুধবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও আসামিরা গ্রেফতার হননি। উল্টো খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন বলে নির্যাতিতার অভিযোগ।

ভুক্তভোগী, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের পরিপত্র এলাকার মৃত রশিদ আকনের ছেলে নুর আলম আকন বিয়ের কথা বলে একই এলাকার তিন সন্তানের বিধবা নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ সম্পর্কের ভিত্তিতেই দুই বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছেন বলে দাবি ওই বিধবা নারীর। নুর আলম চাকরিসূত্রে ঢাকায় থাকেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। সরাসরি ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ফের ধর্ষণ করেন। এ সময় নুর আলম আকনের স্ত্রী খবর পান তার স্বামী ওই বিধবার ঘরে আছেন। তখন পপি বেগম, বোন রাশিদা আক্তার ও ছেলে ইরাম আকন বিধবা নারীর ঘরে গিয়ে তাদের একসঙ্গে দেখেন। এ সময় তারা বিধবা নারীকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেন। নির্যাতিতা নারী জানান, তাকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করেছেন নুর আলম আকন। পরে পপি, ইরাম ও রাশিদা তাকে মারধর করেন এবং চুল কেটে দেন। এ ঘটনায় বিধবা খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গেলে তাকে আইনি কোনো সুবিধা না দিয়ে উল্টো গালাগালি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে বুধবার মামলা হয়। খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো. এমদাদ হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে এসেছিলেন, মামলা বা কোনো অভিযোগ করলে কালকিনি থানায় যেতে হবে। আমি তদন্ত করে দেখেছি তাদের সম্পর্ক ছিল।’ গালাগালির অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি। কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’

সর্বশেষ খবর