শনিবার, ৭ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বাজারে দাম বেড়েছে সবজি মুরগির

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে দাম বেড়েছে সবজি মুরগির

কারওয়ান বাজারে নানা উপায়ে সয়াবিন তেল সংগ্রহ করছেন ক্রেতারা -জয়ীতা রায়

ঈদুল ফিতরের পর বাজারে বেড়েছে সবজি ও মুরগির দাম। এ ছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। মাছের দাম ঈদের পূর্বের তুলনায় কিছুটা কম। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বাজারে এখনো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, চালকুমড়ার পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৬০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা, মটরশুঁটির কেজি ১২০ টাকা। এসব বাজারে শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসিবুর রহমান বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহের কমতি নেই। ঈদের পর ক্রেতাদের সবজিতে চাহিদা বাড়ছে। তাই দামও কিছুটা বাড়তি। সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে পিঁয়াজের। প্রতি  কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি। প্রতি কেজি দেশি আদা পাওয়া যাচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। প্রতি কেজি চিনি (খোলা) বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেটজাত চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এ ছাড়াও এসব বাজারে দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা। ডিমের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দাম দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। এ কারণেই তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন। বিক্রেতারা বলছেন, এখন যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে সে হিসেবে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি করেও লাভ করতে পারছি না। ঈদের পর বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। অথচ রমজান মাসেই এই মুরগির প্রতি কেজির দাম ছিল ২৪০-২৫০ টাকা।  মুরগি বিক্রেতা বলছেন, ঈদের কারণে মুরগির সরবরাহ কম। তাই খামারিরা দাম বেশি চাইছে। যদিও ক্রেতাদের চাহিদা কম, তবুও বাড়তি দাম বাজারে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কিছুটা কমে যেতে পারে বলে জানান রামপুরার মুরগি বিক্রেতা সাব্বির আহমেদ।

সর্বশেষ খবর