রবিবার, ৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ভাঙ্গায় সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, বাড়ি ঘর ভাঙচুর লুট

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের গংগাধরদী গ্রামে সংঘর্ষে দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ সময় ৮টি বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একটি দোকান, একটি পিকআপ ও একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘারুয়া ইউনিয়নের গংগাধরদী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিয়ার রহমান (৬১), অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন গত ইউপি নির্বাচনে ঘারুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মান্নান মোল্লা (৪২)। গত শুক্রবার গংগাধরদী গ্রামের প্রয়াত চুন্নু মুন্সীর জিয়াফত উপলক্ষে তার ছেলে ব্যবসায়ী শিমুল মুন্সী এলাকার লোকজনের দুপুরের খাবারের আয়োজন করেন। এ অনুষ্ঠানে তিনি গ্রামের দুই পক্ষের লোকদের দাওয়াত দেন। দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে মান্নান মোল্লার পক্ষের ইয়াছিন নামে এক ব্যক্তিকে মতিয়ারের পক্ষের লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল ৭টার দিকে দুই পক্ষের শত শত লোক ঢাল, সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এ সময় মান্নান মোল্লা, মামুন শেখ, শাজাহান শেখ, জলিল চোকদারের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ও সুজন চোকদারের মোটরসাইকেল, পিকআপ, জসিম মিয়ার দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। শাজাহান শেখ জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাটও করেছে। তার বাড়ি থেকে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা মূল্যের ২৫ মণ পিঁয়াজের বীজ লুট করে নিয়ে গেছে।   

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শনিবার সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত ২৫ জন ভর্তি হন। এদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন জসিম শেখ (৩২), লুৎফর মিয়া (৪৫), সুজন মোল্লা (২৪)।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেহানা পারভীন জানান, তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ২২ জন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে সংঘর্ষ থামিয়েছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর