মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

যে কারণে ঘর ছেড়েছিল সেই চার কিশোরী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

পরিবারের অভাব-অনটন মেটাতে কাজের সন্ধানে বাড়ি ছাড়ে লক্ষ্মীপুরের সেই চার কিশোরী। তারা কাজ করে পরিবারের আর্থিক অভাব-অনটন দূর করতে বাবা-মার অগোচরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনীতে আসে তারা। এরপর নুরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে আশ্রিত থাকে তারা। তাদের অবস্থান পরিবারের সদস্যদের জানাতে নিষেধ করায় সন্দেহ হলে কৌশলে মুঠোফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বিষয়টি কমলনগর থানা পুলিশকে অবহিত করেন ওই পুলিশ সদস্য। পরে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। রবিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার ড. এইচ এম কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, অন্য কারও প্ররোচনায় নয়, কিংবা তাদের কেউ অপহরণ করেনি। তারা স্বেচ্ছায় কাজের সন্ধানে বাড়ি ছাড়ে। এরপরও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। চার কিশোরীকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ, সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, ডিএসবির ওসি এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া ও কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলায়মান হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের বাদামতলী এলাকা থেকে সামিয়া আক্তার, জোবায়দা আক্তার, সিমু আক্তার ও মিতু আক্তার নামে চার কিশোরী চাচাতো ও খালাতো বোন একসঙ্গে সামিয়ার নানার বাড়ির (নোয়াখালী) উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তাদের খোঁজ না পাওয়ায় আকলিমা নামের এক নারী কমলনগর থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি ও পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। তাদের ফিরে পেয়ে সবার পরিবার এখন খুশি।

সর্বশেষ খবর