অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক মো. আবদুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। পাশাপাশি ৭ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন। ফলে স্ত্রীসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক মালেকর আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম অনি জানান, দুই মামলায় গতকাল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। দুই মামলার একটিতে আসামি শুধু মালেক; অন্য মামলায় তার সঙ্গে স্ত্রী নার্গিস রয়েছেন। তারা দুজনই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেয় আদালত। এর আগে মালেক ও নার্গিসের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে বিচারক শুনানির জন্য ১৯ মে দিন ধার্য করেন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মালেক ও নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে মামলা দুটি করে দুদক। এ ছাড়া ওই দিন মালেকের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের হয়। ওই মামলায় দুই ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন মালেক। মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। অন্য মামলায় নার্গিস বেগমের ২ কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩১ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে বৈধ উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা। বাকি ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জিত হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক মালেককে আটক করে র্যাব। ওই দিনই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়। অস্ত্র মামলায় বিচার শেষে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মালেককে ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে তাকে ১৫ বছর কারাগারে কাটাতে হবে।
-24-04-2024.jpg?v=1714034624)
