শনিবার, ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বেড়েছে পিঁয়াজ, ডিমসহ সবজির দাম

এক লাফে রসুনের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাজারে বেড়েছে পিঁয়াজ, ডিমসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচা সবজির দাম। আর এক লাফে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা। বাজারে হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। রাজধানীর বাজারগুলোতে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও ঢাকার বাইরে পাড়া-মহল্লার সব দোকানে এখনো সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আর দু- এক দোকানে পাওয়া গেলেও তা নতুন দামে কিনতে হচ্ছে। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে শক্ত হাতে বাজার মনিটরিংয়ের অনুরোধ জানিয়েছেন ক্রেতারা।

সরকার আপাতত আমদানির অনুমোদন না দেওয়ায় দেশের বাজারে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে মানভেদে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিলু স্টোরের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব কুমার সাহা জানান, কোম্পানিগুলো তেল দেওয়া শুরু করেছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় তেল সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক। কোম্পানি যে তেল দিচ্ছে সেগুলোর গায়ে নতুন মূল্য রয়েছে। সরকার নির্ধারিত নতুন দামে সয়াবিন বিক্রি করছেন তারা। তবে চাহিদার তুলনায় কোম্পানি কম সরবরাহ করছে বলে জানান তিনি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে রসুনের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। বাজারে মূলত দুই ধরনের রসুন দেখা গেছে- দেশি রসুনের দাম ১০০ টাকা কেজি। আর চায়না রসুনের দাম ১৩০ টাকা কেজি। গত মঙ্গলবার দেশি রসুনের দাম ছিল ৬০ টাকা কেজি। বুধবার তা হঠাৎ করেই হয়ে যায় ১০০ টাকা। একই দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার চায়না রসুনের দাম ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। কিন্তু বুধবারই তা হয়ে যায় ১৩০ টাকা কেজি। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বাজারগুলোতে বেড়েছে কাঁচা সবজির দাম। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ১২০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। প্রতি কেজি ২০ টাকা হিসেবে বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গত চার দিনের বৃষ্টির কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। ঈদের পর বাজারে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে। বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। বাজারগুলোতে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় খামারিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণেও কিছুটা দাম বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর