শিরোনাম
রবিবার, ১৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে যোগ দেওয়া ঠেকাবে তুরস্ক

ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তের কাছে এলেই পাল্টা জবাব : মস্কো

প্রতিদিন ডেস্ক

ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তের কাছে এলেই পাল্টা জবাব : মস্কো

ন্যাটো জোটকে সম্প্রসারণ করে রাশিয়ার সীমান্তের কাছে নিয়ে আসা মাত্রই পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে মস্কো থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এদিকে তুরস্ক বলেছে, তারা ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়া ঠেকানোর কাজ করবে। রয়টার্স, আলজাজিরা, স্পুটনিক।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে শিগগিরই আবেদন করতে যাচ্ছে ইউরোপের দুই দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এ নিয়ে সতর্ক করে রাশিয়া আবারও বলেছে, ন্যাটোয় যোগ দিলে ওই অঞ্চলে ব্যাপক ‘সামরিকায়ন’ হবে এবং রুশ সীমান্তের কাছে ন্যাটো পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করামাত্রই পাল্টা জবাব দিতে মস্কো প্রস্তুত রয়েছে। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী আলেক্সেন্ডার গ্রুশকো গতকাল বলেন, রাশিয়া জানে ন্যাটো তার নাগালের মধ্যে সবকিছু সামরিকায়ন করতে চায়। আর ন্যাটোর সম্প্রসারণ রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। তাই মস্কোর প্রতিক্রিয়া আবেগের ভিত্তিতে হবে না, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই নেওয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটো জোট যোগ দেওয়ার কোনো কারণ তিনি দেখেন না। ফিনল্যান্ড যদি ন্যাটো জোটে যোগ দেয়, তাহলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং উত্তর ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগ দেওয়ার পরিকল্পনার পক্ষে নয় তুরস্ক। নর্ডিক এসব দেশগুলো ‘অনেক সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠিকানা’ হওয়ায় ন্যাটো সদস্য তুরস্কের পক্ষে তাদের পরিকল্পনায় সায় দেওয়া সম্ভব নয় বলে ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এরদোগান। এরদোগান বলেন, ‘সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে যা ঘটছে তার দিকে নজর রাখছি আমরা। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তাদের জন্য ইতিবাচক নয়। এর আগে গ্রিসকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করে ন্যাটো ভুল করেছে।’ তিনি বলেন, ‘তুর্কি হিসেবে আমরা একই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাই না। আর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো তো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য অতিথিশালা। এমনকি তারা (সংগঠনগুলোর নেতারা) কিছু দেশের পার্লামেন্টেরও সদস্য। এদের সমর্থন দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।  উল্লেখ্য, ৭০ বছর আগে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটটির বৃদ্ধিতে তুরস্ক সমর্থন দিয়ে এসেছে, কিন্তু এবার তাদের বিরোধিতা সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ সব সদস্যের সম্মতি ছাড়া নতুন সদস্য পদ দেওয়ার বিধান নেই। সংবাদ সূত্রগুলো বলছে, তুরস্ক কুর্দি গোষ্ঠী পিকেকে ও ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে। এমন গোষ্ঠীগুলোর বিষয়ে সুইডেন ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর ভূমিকার নিন্দা করে আসছে তুরস্ক। তুরস্কের মুসলিম ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন ও তার অনুসারীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান নিয়েও অসন্তুষ্ট তুরস্ক। দেশটির অভিযোগ, গুলেন পন্থিরা ২০১৬ সালে তুরস্কে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল।

ফিনল্যান্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিল রাশিয়া : ফিনল্যান্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। এর আগেই দেশটির রুশ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘রাও (আরএও) নর্ডিক’ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সতর্ক বার্তা দিয়েছিল। এরপরই ফিনল্যান্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হলো।

আরএওর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ফিনল্যান্ড আগে সরবরাহ করা বিদ্যুতের পাওনা মূল্য পরিশোধ করেনি।

মূল্য পরিশোধ-সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি, যা আমাদের বাণিজ্য ইতিহাসের ২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর