দীর্ঘ ছয় বছর ইরানে আটক থাকা ব্রিটিশ নাগরিক নাজনিন জাঘারি রেডক্লিফের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেখা করেছেন। শুক্রবার লণ্ডন সময় দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নম্বর টেন ডাউনিং স্ট্রিটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বরিস জনসনের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে টিউলিপ সিদ্দিক সেখানে যান। সাধারণত বিরোধী দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আমন্ত্রণ পান না। বরিসের সঙ্গে বৈঠকে নাজনিনকে এতদিন কেন ফেরত আনা হয়নি, ইরানে আটক আর এক ব্রিটিশ নাগরিক মুরাদকে ছাড়ার ব্যাপারে সরকার কী উদ্যোগ গ্রহণ করবে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।
বরিসের আমন্ত্রণে কিলবার্ন ও হ্যাম্পস্ট্যাডের লেবার এমপি ব্রিটিশ বাংলাদেশি বংশো™ভূত টিউলিপ সিদ্দিক ছাড়াও ছিলেন নাজনিনের স্বামী রিচার্ড রেডক্লিফ, সাত বছরের কন্যা গ্যাব্রিয়ালা রেটক্লিফ।
উল্লেখ্য, ইরান সরকার ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল যখন নাজনিনকে আটক করে তখন তার আসনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক নাজনিনকে মুক্ত করতে আন্দোলনে নামেন। টিউলিপ নাজনিনের মুক্তির জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ও ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। যা ব্রিটেনজুড়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে।দীর্ঘ আন্দোলন, কূটনৈতিক যুদ্ধ ইত্যাদির কারণে গত ১৬ মার্চ নাজনিনকে ইরান থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৭ মার্চ নাজনিন ফিরে আসেন লণ্ডনে। নাজনিনের পরিবারও টিউলিপ সিদ্দিক এমপির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে টিউলিপের এমন উদ্যোগ লেবার নেতাদের সঙ্গে সঙ্গে সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের কাছেও বেশ প্রশংসিত হয়।
গত ১৩ মে নাজনিনের সঙ্গে সাক্ষাতে বরিস জনসন নাজনিনের পরিবারের খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক এমপিকে ধন্যবাদ জানান তার কাজের জন্য। টিউলিপ সিদ্দিক এমপি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় বরিস জনসন তাদের ডাউনিং স্ট্রিট ঘুরে দেখান।
উল্লেখ্য, টিউলিপ সিদ্দিক শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে ট্রেজারির দায়িত্বে আছেন। কিলবার্ন ও হ্যাম্পস্ট্যাড আসন থেকে পরপর দুবার নির্বাচিত এমপি তিনি। টিউলিপ সিদ্দিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে।