রবিবার, ১৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
ল্যানসেটের গবেষণা

করোনা থেকে সেরে ওঠার দুই বছর পরও থাকছে ধকল

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য ল্যানসেট জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার প্রায় দুই বছর পরও বেশকিছু উপসর্গ শরীরে থেকে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান হলো- ক্লান্তি, দুর্বলতা, পেশি ব্যথা, ঘুমের সমস্যা, শারীরিকভাবে ঝিমিয়ে পড়া ও শ্বাসকষ্ট। সূত্র : এনডিটিভি।

সূত্র বলছে, করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরও নানা ধরনের শারীরিক উপসর্গ অনেকের ক্ষেত্রে হালকা, আবার কারও ক্ষেত্রে গুরুতর। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে করোনার সংক্রমণ কমে এলেও জানা যাচ্ছে- করোনার সংক্রমণ মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। তথ্য-প্রমাণ বলছে, করোনা থেকে সেরে ওঠা উল্লেখসংখ্যক মানুষের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নানা জটিলতাসহ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থেকে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার দুই বছর পরও অন্তত একটি জটিলতায় ভুগতে পারে মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে করোনার যে কোনো একটি উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তা হলো- ক্লান্তি ও পেশির ব্যথা। ল্যানসেট বলছে, প্রাথমিকভাবে করোনা যতই ভয়াবহ হোক না কেন, অনেকেই এই করোনার সংক্রমণ কাটিয়ে উঠে এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছে। দুই বছরের মধ্যে অনেকেই স্বাভাবিক কাজেও ফিরেছে। তবে করোনা সংক্রমণ-পরবর্তী জটিলতা এখন অনেককেই ভোগাচ্ছে। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বেইজিংয়ের চীন-জাপান ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, গত দুই বছরে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের চেয়ে করোনাজয়ীদের শারীরিক অবস্থা অপেক্ষাকৃত খারাপ ও দুর্বল। সে ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার দীর্ঘকালীন ধকল ও ঝুঁকি কমাতে লং কভিডের প্যাথোজেনেসিস খুঁজে বের করে তার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। লং কভিডের প্রভাব দুই বছরেরও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। এটা উদ্বেগজনক। তাই করোনা  থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিরা কত দিন পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন, তা নিশ্চিত করার জন্য করোনার প্রাকৃতিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা অত্যন্ত জরুরি।

গবেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে লং কভিডের প্যাথোজেনেসিস নিয়ে আরও বিস্তৃত গবেষণা করতে হবে এবং করোনার ঝুঁকি কমাতে কার্যকর হস্তক্ষেপের কৌশল তৈরি করতে হবে।

সর্বশেষ খবর