সোমবার, ১৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

করোনা ঘিরে নেই কোনো আলোচনা

স্বস্তিতে মানুষ, মৃত্যুশূন্য ২৫ দিন পার করছে দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা ঘিরে নেই কোনো আলোচনা

দীর্ঘ দুই বছর পর স্বস্তি ফিরেছে দৈনন্দিন জীবনযাপনে। করোনার ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি পেয়েছে জীবন। কিছুটা হলেও মুছেছে শোকের ছায়া। মৃত্যুহীন টানা ২৫ দিন পার করছে দেশ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় করোনা ঘিরে নেই উৎকণ্ঠা, নেই কোনো আলোচনা। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কল-কারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিসে ফিরেছে কাজের গতি।

এ ব্যাপারে ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মাঝে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে দেশ। করোনা সামলে ওঠার সূচকে পুরো বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু করোনার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘অনেক দেশে চতুর্থ ঢেউ চলছে। চীন, উত্তর কোরিয়ায় আবারও হানা দিয়েছে করোনা, বেশ কিছু জায়গায় চলছে লকডাউন। এ জন্য করোনা বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্কের কোনো বিকল্প নেই। টিকা নেওয়া বাকি থাকলে অবশ্যই নিতে হবে।’ 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গতকাল দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন। শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ২৮ জন। ঢাকা মহানগর ও জেলায় এ সংখ্যা ২৪ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১২ জনে।

সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ২৬৯ জন। গত ২৪ দিনের মতো গতকাল মৃত্যুহীন দিন পার করেছে দেশ। দেশের ৮৭৯টি ল্যাবে চলছে করোনা পরীক্ষা। গত ২০ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর আর কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে করোনায় মৃতের সংখ্যা দেশে ২৯ হাজার ১২৭ জনই রয়েছে।

দেশে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৯ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারি ঘোষণা করে ১১ মার্চ। দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। দেশে দেশে দেওয়া হয় লকডাউন।

শুরুতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মৃতদেহ দাফন করার লোকপর্যন্ত পাওয়া যেত না। চিকিৎসা নিতে হাসপাতালগুলোতে বেড না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতেই মৃত্যু হয়েছিল অনেকের। তবে দুই বছর পেরিয়ে তৃতীয় বছরের বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বই অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। ওয়াল্ডোমিটারের তথ্য সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ৯০০। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮০।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর