সোমবার, ১৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ওয়ার্কার্স পার্টির ৫০ বছর পূর্তিতে বছরব্যাপী কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল ১৭ মে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে পার্টির নেতারা বলেছেন, এই ৫০ বছর যেমন ছিল সুমহান আন্দোলন ও অর্জনের, তেমনি লক্ষ্য পূরণ করতে না পারার ব্যর্থতার গ্লানি। ৫০ বছরে পার্টি যেমন এগিয়েছে, তেমনি পিছিয়েছে। বহুবিধ বিভক্তি ও ঐক্যের মধ্য দিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি এগিয়ে চলেছে।

গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ পার্টির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন ৫০ বছর উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরূল আহসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরোর সদস্য ও আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মানিক, পলিটব্যুরোর সদস্য হাজী বশিরুল আলম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৭ মে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবে কেন্দ্রীয় অফিস সজ্জিতকরণ, ৩১ মে শহীদ জামিল আখতার রতনের মৃত্যুবার্ষিকীতে জামায়াতের উত্থান, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা; ৫ জুন পরিবেশ দিবসে গঙ্গা, তিস্তা, যমুনা, মেঘনা ব্যবস্থাপনা ও পানির ওপর কৃষক ও আদিবাসীর অধিকার নিয়ে আলোচনা; ১৮ জুন ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যুদিবস; ২৬ জুন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী; ১৩ আগস্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো, চেগুয়েভারা ও স্যাভেজ স্মরণ; ১৭ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী দিবস, ৯ সেপ্টেম্বর মাও সেতুং-এর জন্মদিন; ২৮ অক্টোবর রাসেল আহমেদ খানের মৃত্যুবার্ষিকী; ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস; ৭ নভেম্বর রুশ বিপ্লব বার্ষিকী; ৮ নভেম্বর বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অতীত ও বর্তমান শীর্ষক আলোচনা; ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস; ১৭ নভেম্বর মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী;  ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস; ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস; ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের কৃষক- খেতমজুর আন্দোলন : অতীত ও বর্তমান শীর্ষক আলোচনা;  ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস, ২৪ জানুয়ারি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দিবস এবং ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালন।

এ ছাড়া আগামী বছরের ১৭ মে ৫০ বছর পূর্তি সমাপনী অনুষ্ঠান ওয়ার্কার্স পার্টির ৫০ বছরের পথচলা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলো সংহত করে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে পার্টি অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের কাজে উদ্যোগী হয় এবং কমিউনিস্ট আন্দোলনকে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনবাদী) প্রতিষ্ঠা করে। বহুবিধ বিভক্তি ও ঐক্যের মধ্য দিয়ে ওই কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনবাদী) বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নামে এগিয়ে চলেছে। ওয়ার্কার্স পার্টি ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সুমহান উত্তরাধিকার বহন করে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হলে নতুন বাস্তবতায় পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি নামে পার্টি পুনর্গঠিত হয়। কিন্তু পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে দুস্তর ফারাকের কারণে পাকিস্তানের পূর্ব অংশে পার্টি ‘পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি’ হিসেবে সংগঠিত হয়।

সর্বশেষ খবর