খুলনার বটিয়াঘাটায় কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা তার খালাতো বোনকেও ধর্ষণের চেষ্টা ও তার শিশু বাচ্চাকে পানিতে চুবানো হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গতকাল পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বালিয়াডাঙ্গা ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ শেখের ছেলে মুজাহিদ শেখ (২৪), আজনবী মোড়লের ছেলে আজিজুল মোড়ল (২৫) ও হুমায়ুন মোড়লের ছেলে নাঈম (২২)। গতকাল র‌্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।  পুলিশ জানায়, শনিবার গভীর রাতে ৫/৭ সদস্যের সংঘবদ্ধ একটি দল বটিয়াঘাটা গ্রামে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কয়েকজন বাইরে পাহারা দেয় ও অন্যরা ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে দলবেধে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার খালাতো বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এর আগেই তার শিশু বাচ্চাকে পানিতে চুবানো হয়। র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মাদ মোস্তাক আহমেদ বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জানার পর র‌্যাব ঘটনায় জড়িত মুজাহিদ ও আজিজুলকে গ্রেফতার করে। এরা লম্পট প্রকৃতির, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মূলত ধর্ষণের উদ্দেশেই তারা ওই বাড়িতে যায়।

এদিকে ভুক্তভোগীদের ডাকচিৎকারে ধর্ষকরা পালিয়ে গেলে তারা পানিতে চুবানো শিশুকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুর রহমান বলেন, গতকাল কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। আসামিরা বসতঘরে ঢুকে ধারাল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভিকটিমের খালাতো বোনকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। আসামিরা এলাকার চিহ্নিত বখাটে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার আসামি নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। অপর দুই আসামি মুজাহিদ ও আজিজুলকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।