নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ঔষধিগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে রোজেলা ফুলের। নাটোরে উৎপাদিত রোজেলা ফুল বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা কেজি দরে। বাজারে এ ফুলের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ঝুঁকছেন রোজেলা ফুল চাষে। রোজেলা ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে একে ফসল হিসেবে একটি সম্ভাবনাময় খাতে পরিণত করা যেতে পারে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। রোজেলা ফুল দিয়ে উৎপাদিত চা, আমসত্তের মতো ফ্রুটল্যাক্স, জ্যাম, জেলি, জুস, আচার ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করেন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা।

এক সময় গ্রাম অঞ্চলে পথের ধারে, জঙ্গলের ভিতরে প্রচুর পরিমাণ এ গাছের জন্ম হতো। নাটোরের আঞ্চলিক ভাষায় চুকাই চুকা অথবা টকের গাছ বলেও ডাকা হতো। মূলত গাছটির নাম ‘রোজেলা’। ঔষধিগ্রামের চাষিরা বলছেন, অধিক লাভজনক এ ফুল উৎপাদন করলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। আর জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে রোজেলা চাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

নাটোরের গণমাধ্যমকর্মী মেহেদী হাসান বাবু বলেন, সাধারণত ৫ টাকায় এককাপ চা কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু রোজেলা চা পেতে হলে কমপক্ষে ৩০ টাকা ব্যয় হবে। যা অনেকেরই সাধ্যের বাইরে। নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদুল ইসলাম জানান, ঔষধিগ্রামের ভেষজ চাষি শহিদুল ইসলাম পরীক্ষামূলক এ রোজেলা চা উৎপাদন করেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে। অন্য কৃষকরা যেন লাভজনক রোজেলা চাষে আগ্রহী হন, সে বিষয়ে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।