নিজের জায়গা না থাকলেও নদীর ধারে ক্যাম্পবেল হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়ীয়া ইউনিয়নের ফতোপুর খাসপাড়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে সাদিকুল ইসলাম। ক্যাম্পবেল হাঁস পালনে কোনো ঝমেলা না থাকলেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। এ হাঁস খাবার সংগ্রহ করে মাঠঘাট, খালবিল, ডোবা বা ফসলের ক্ষেতে। দলবেঁধে ছুটে চলে শত শত হাঁস, আবার দিন শেষে খামারে ফিরে আসে।
সারা বছরই হাঁস পালন করা যায়, তবে শীতের সময় হাঁস এবং হাঁসের ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় এ সময়টাতে হাটবাজারে হাঁসের জমজমাট কেনাবেচা হয়ে থাকে। সাদিকুল ইসলাম জানান, মাত্র সাড়ে চার মাস বয়সেই বাহারি রঙের এ প্রজাতির হাঁস পালনে ভাগ্য বদলে দেবে। তিন বছর আগে ১১ হাজার ২০০ টাকায় ৭৫০টি বাচ্চা হাঁস কিনে লালন পালন শুরু করেন এবং চার মাস বয়সে হাঁসগুলো ডিম দেওয়া শুরু করে। তবে বিলের মধ্যে হাঁস পালন করতে পারলে তেমন কোনো খরচ হয় না। কিন্তু হাঁসগুলো যখন নদীতে পালন করা হয় তখন খরচ বেড়ে যায়। নদীতে পালন করার জন্য প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজার টাকা খরচ হচ্ছে তার এবং প্রতিদিন গড়ে ৪৪০টি ডিম পাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, একটি হাঁস বছরে আনুমানিক ২৮০টি ডিম দিয়ে থাকে। তবে দেশি হাঁসের তুলনায় খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস টানা তিন বছর পর্যন্ত ডিম দেয়। এ হাঁসের মাংস মুরগির মতোই পুষ্টিকর। এই হাঁস পালনে বেশি পানিরও প্রয়োজন হয় না। হাঁসের খাবার ও গলা ডোবানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানি পেলেই এরা সহজ ও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে বেঁচে থাকতে পারে। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ৪০-৪৫ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। আর্থিক সহযোগিতা পেলে তার খামারটি আরও বড় করে এলাকার অসহায় লোকজনের কাজের ব্যবস্থা করতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি।
