বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার প্রধানের উদ্দেশে বলেছেন, এখনো সময় আছে পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। ‘প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন নার্ভাস হয়ে গেছেন। তিনি দেখতে পাচ্ছেন তার ক্ষমতার দিন শেষ। সামনে আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। তকতে-তাউস টলমল হয়ে গেছে।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং ঢাকা দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনু। বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, জয়নাল আবদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মুস্তাফিজুর রহমান, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ। সমবেশের সময় পুলিশ তোপখানা রোডে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীকে কটূক্তি করার জন্য ক্ষমা চান। অন্যথায় জনগণ আপনাদের ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও দেবে না। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি না। জনগণের পকেট থেকে যে ট্যাক্স কেটে নিয়েছেন, সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু করেছেন। জনগণ জানতে চায়, জাতির কত টাকা আপনারা এ পদ্মা সেতুতে ব্যয় করেছেন। আর কত টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন। আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। প্রত্যেক দিন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি রসাতলে যাচ্ছে।খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ : বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাঁকে এখন যদি উন্নত চিকিৎসা দেওয়া না হয়, তাহলে তাঁর জীবন হুমকির মধ্যে পড়বে। এখনো সময় আছে তাঁকে মুক্তি দিন। বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিন। আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর নামে যে মামলা আছে, তা তুলে নিন। যারা কারাগারে আছে তাদের মুক্তি দিন।