রবিবার, ২৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের পীরগাছায় দোকান নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধান-চাল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম দেলোয়ার হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার অনন্তরাম কসাইটারী এলাকার সবুর উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই পীরগাছা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত ফারুকের ছোট ভাই সবুজ মিয়া (৩৫), শফিকুল ইসলাম (৪০) ও রঞ্জু মিয়া (৩০) নামে তিনজনকে আটক করে। এদিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাশের বাড়ির মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে ফারুক হোসেন ফারুকের নাম উল্লেখসহ ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পীরগাছা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেলোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান ফারুক হোসেন। এরপর বাড়ির পাশে রেললাইনের ধারে আগে ওত পেতে থাকা কয়েকজন মিলে দেলোয়ারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় দেলোয়ার চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তখন দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে দেলোয়ারকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পীরগাছা উপজেলা শহরের মাছ হাটি এলাকায় অনন্ত রাম কসাই বাড়ির ফারুক হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকায় পজেশন নিয়ে কিছুদিন কাঁচামালের ব্যবসা করেন দেলোয়ার হোসেন। পরে তিনি সেখানে ধান-চাল ভুট্টা কেনাবেচার ব্যবসাও করতে থাকেন। ওই দোকানের পজেশন নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় কয়েক মাস থেকে। এরই জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত দেলোয়ারের মা দিলজান খাতুন জানান, পীরগাছা বাজারের দোকানের জায়গা নিয়ে ফারুক হোসেনের সঙ্গে দেলোয়ারের দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ জন্য তারা আমার ছেলে জীবনে শেষ করে দিয়েছে। আমি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কথা আছে বলে বাড়ি থেকে দেলোয়ারকে ডেকে নিয়ে যান ফারুক হোসেন। তারপর তার চিৎকার শুনে রেল লাইনের ধারে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।

আমার দুই ছেলে আরমান ও ইমরানকে এখন কে দেখবে। আমি কি নিয়ে বাঁচবো। ওরা আমার সন্তানদের এতিম করে দিল। 

পীরগাছা থানার ওসি সরেষ চন্দ্র জানান, লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলা করছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর