কালিয়াকৈরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এ সময় ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এ ঘটনায় গতকাল সকালে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও যাত্রীদের অভিযোগ।
এলাকাবাসী, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও যাত্রী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জয়দেবপুর-রাজশাহী রেললাইনের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এ সময় ওই এলাকার রেললাইনের কিছু অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে জয়দেবপুর, মৌচাক, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিট, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রেলস্টেশনে আটকে পড়ে বিভিন্ন ট্রেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন রেলস্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীরা। খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে গেলেও তাদের উদ্ধারকাজ চলে অত্যন্ত ধীরগতিতে। এ সময় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের যাত্রীসহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে আটকে পড়া ট্রেনযাত্রীদের কেউ কেউ প্রচণ্ড গরমে, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে অসুস্থ বোধ করেন। অবশেষে পর দিন সকাল ১০টার দিকে কোনোরকমে উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ হলে ওই রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করে। ধীরে ধীরে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ওই দুর্ঘটনার কারণে প্রায় ১২ ঘণ্টা ট্রেন শিডিউলের বিপর্যয় ঘটে। পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. শাহীদুল ইসলাম জানান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার পর ঢাকা ডিভিশন থেকে রিলিফ ট্রেন ডাকা হয়েছিল।
পাকশী থেকে রেলওয়ে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া এ দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
