সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে বৃহত্তর আন্দোলনের প্ল্যাটফরম গড়ে তুলতে বিএনপির কাছে ৩১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। গতকাল রাজধানীর পল্টনে পার্টির কার্যালয়ে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা জানান দলীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

এর আগে সরকার পরিবর্তনে বৃহত্তর আন্দোলনের প্ল্যাটফরম গড়ে তুলতে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সঙ্গে সংলাপ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব। এ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। বিএনপির পক্ষে সংলাপে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন উপস্থিত ছিলেন। আর ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে সাইফুল হকের সঙ্গে আকবর খান, বহ্নিশিখা জামালী, আনসার আলী দুলাল, আবু হাসান টিপু, মীর মোশাররফ হোসেন মোস্তাক, মাহমুদ হোসেন, অ্যাপোল জামালী সংলাপে উপস্থিত ছিলেন। সাইফুল হক জানান, সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বিষয়েও আলাপ-আলোচনা আমরা করেছি। সামগ্রিকভাবে সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে ৩১ দফা বিএনপির নেতাদের কাছে পেশ করেছি। তিনি বলেন, গত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো আরেকটা ব্যর্থ নির্বাচনের দায় বাংলাদেশের মানুষ ও জনগণ গ্রহণ করতে পারবে না। নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সংলাপ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, উভয় দল কতগুলো মৌলিক বিষয়ে একমত হয়েছি। আর বাকি বিষয়ে ভবিষ্যতে অতি দ্রুত আলোচনার মধ্য দিয়ে পর্যায়ক্রমে সে বিষয়গুলো আমরা সমাধান করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে আটকে রাখা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রাখা, প্রায় ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং দেশে একটা ভয়াবহ ত্রাসের অবস্থা করে রাখার ব্যাপারে আমরা একটা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফখরুল বলেন, আমরা যারা একমত হয়েছি, তারা যৌথভাবেই আন্দোলন শুরু করব। এই আন্দোলন যুগপৎ হবে।