বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া সেই অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মালিবাগে একটি বাসায় নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সেই অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম পাপিয়া সারোয়ার ওরফে মিম (১৮)। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শান্তিবাগের সিটি ইন্টারন্যাশনাল কলেজের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন মিম। তিনি গুলবাগের ঝিলপাড়ে তার স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল পৌনে ৬টায় মিমের মৃত্যু হয়। গত ২৮ মে দুপুরে মালিবাগের গুলবাগের ঝিলপাড় এলাকার বাসায় ওই গৃহবধূ নিজ গায়ে আগুন দেন বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় ওইদিনই তার স্বামী রামিমকে আটক করা হয়। মিমের পরিবারের ভাষ্য, স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মিম। দ্রুত তাকে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গুলবাগ এলাকায় মিমের স্বামীর ফ্লেক্সিলোড ও লন্ড্রির ব্যবসা আছে। প্রতিদিন অনেক মেয়ে ওই দোকানে আসে। তাদের একজনের সঙ্গে মিমের স্বামীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে মিম ও তার স্বামী রামিমের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে মিম অভিমান করে নিজ কক্ষে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে শরীরে আগুন জ্বলতে দেখেন। মিমের মা-বাবার বাসা তার বাসার কাছেই। বাড়ির মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা এসে মিমের শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

প্রথমে তাকে খিলগাঁয়ের খিদমাহ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

মিমের মা পারভীন আক্তার গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিন বছর আগে প্রেমের বিয়ে হয় মিমের। মিমকে বিয়ে করার পর থেকেই রামিমের অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক হয়। এ নিয়ে ঝগড়ার জেরেই মিম নিজের শরীরে আগুন দিয়েছে। একই কারণে এক বছর আগেও মিম একবার হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর