বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ছাত্রকে প্রস্রাব পান করানোর অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি

স্কুলের ছাদে উঠে নিচে প্রস্রাব করার শাস্তি হিসেবে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তার ছাত্রকে প্রস্রাব পান করানোর অভিযোগ উঠেছে। নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার চকচান্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

ঘটনার শিকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির উল্লেখ করে, ‘প্রস্রাবখানায় অনেককে প্রস্রাবের জন্য অপেক্ষমাণ দেখে আমি স্কুলের ছাদে প্রস্রাব করি। এ কারণে ম্যাডাম আমাকে মারধর করেন ও আমার হাতে একটা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বলেন, এখানে প্রস্রাব কর। আমি ভয়ে তাতে প্রস্রাব করি। তারপর তিনি বলেন, এখন তুই এ প্রস্রাব খা, না খেলে আরও মারব। আমি ভয়ে প্রস্রাব খেয়ে বাসায় গিয়ে বাবা-মাকে পুরো ঘটনা বলি।’ সাব্বিরের মা সাবিনা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে অভিভাবককে জানাবে। না জানিয়ে সহকারী শিক্ষক শাহানা ম্যাডাম অন্যায়ভাবে আমার ছেলেকে মেরেছেন ও প্রস্রাব খাইয়েছেন। তাহলে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা কোথায়?’ তিনি অভিযুক্ত শিক্ষিকার অপসারণ দাবি করেন। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহানা বেগম বলেন, ‘আমি রেগে গিয়ে বলেছি তুমি ছাদ থেকে কেন প্রস্রাব করলে, এখন তুমি এ প্রস্রাব খাও। কিন্তু ওকে আমি নিজ হাতে প্রস্রাব খাওয়াইনি।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরশাদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি ঘটনার সময় অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরে সহকারী শিক্ষিকা তানজিলার মুখ থেকে বিস্তারিত শুনেছেন এবং ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল আলম লাকী, সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসতিয়াক আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু ইউসুফ বদিউজ্জামান বকুলসহ ঘটনাস্থলে গেলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহানা বেগম দোষ স্বীকার করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আজমল হোসেন বলেন, ‘পুরো ঘটনা শুনেছি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর