বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

যশোরে ১৬ ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪ কেজি সোনা উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর ও চট্টগ্রাম

যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় তিনটি প্রাইভেট কার থেকে ১৩৫টি সোনার বারসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এসব সোনার ওজন ১৬ কেজি বলে জানিয়েছে বিজিবি। অন্যদিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইটে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে ৩৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে, যার ওজন ৪ কেজি।

যশোর ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও যশোর বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি টিম যশোর মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুরে চেকপোস্ট বসিয়ে গতকাল বেলা ১টা থেকে অপেক্ষা করতে থাকে। ৪ ঘণ্টা পর যশোরমুখী তিনটি প্রাইভেট কার ওই পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা সেগুলো আটক করেন। পরে সেগুলো তল্লাশি করার সময় গাড়ির সামনে বিশেষ কায়দায় তৈরি এক ধরনের বাক্স থেকে ১৩৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। বিজিবি অধিনায়ক বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া সোনা ও যানবাহনের জব্দতালিকা করা হয়। গাড়ি তিনটিতে থাকা ছয়জনকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ১৫ কেজি ৮০০ গ্রাম, যার মূল্য ১৩ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আটক ছয়জনের মধ্যে তিনজন প্রাইভেট কারের চালক। তারা হলেন যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার দুর্গাপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, চাঁদপুর জেলার বাগানবাড়ী গ্রামের মো. আরিফ মিয়াজী ও মাদারীপুর জেলার বলশা গ্রামের আবু হায়াত জনি। বাকি তিনজন হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার মিজমিজি গ্রামের রবিউল আলম রাব্বি, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নৈয়ার গ্রামের আবু হায়াত জনি ও যশোরের বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের নাজমুল হোসেন। উদ্ধার হওয়া সোনা ও আটক ছয়জনের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিজিবি অধিনায়ক। বিজিবি জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আটকরা জানিয়েছেন, ভারতে পাচারের উদ্দেশে তারা এসব সোনা ঢাকা থেকে যশোর সীমান্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এর বিনিময়ে মার্কিন ডলার নিয়ে তাদের ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। এদিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইটে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে ৩৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর ওজন ৪ কেজি ৬৬ গ্রাম, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। গতকাল সকালে শারজাহ থেকে ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই সোনা আটক করে। জানা যায়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর হেডকোয়ার্টার থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সাইফুল ইসলাম নামে ওই যাত্রীর ফ্লাইট নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর ও ছবি দেওয়া ছিল। ফ্লাইট সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণের পরই সিটের কাছে গিয়ে তাকে আটক করা হয়। এরপর শরীর তল্লাশি করে কালো স্কচটেপে মোড়ানো সোনার বারগুলো পাওয়া যায়। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিরাত ফেরত যাত্রী সাইফুলের শরীর তল্লাশি করে শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা সোনার বারগুলো জব্দ করেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর