শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্যবসায়ীর লাশ মিলল ১৬ ফুট বালুর নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ মাস পর ১৬ ফুট বালুর নিচে পাওয়া গেছে ঢাকার কেরানীগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপ বাউলের লাশ। পাওনা ২ লাখ টাকা তুলতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ঢাকা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও ঢাকা জেলা পিবিআই যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে অনুপের ব্যবসায়িক অংশীদার নয়নসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখাল বিসিক কেমিক্যাল পল্লীতে প্রায় ১৬ ফুট বালুর নিচ থেকে অনুপের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত কানাই বাউলের ছেলে অনুপ বাউল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘুরিয়া ইউনিয়নের পাইনা ভৈরব নগর গ্রামের বাসিন্দা।

গতকাল বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, যে ভেক্যু মেশিন দিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপের লাশ পুঁতে রাখা হয় সেই ভেক্যু মেশিন দিয়েই ১৬ ফুট মাটির নিচ থেকে অনুপের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার মূল আসামি ভেক্যুর মালিক রিপন মণ্ডল। অনুপকে হত্যা করে নিজস্ব ভেক্যু দিয়েই ভিকটিমের লাশ বালুর নিচে পুঁতে রাখে রিপন। তার দেখানো মতো ভেক্যু দিয়ে খনন করে ভিকটিমের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার জয়েনপুর গ্রামের নিজ নিজ বাড়ি থেকে রিপন মণ্ডল, পীযূষ করাতি ও নয়ন মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন রাতে সাভারের ভাকুর্তা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে দিলীপ চন্দ্র রায়কেও গ্রেফতার করা হয়।

অনুপ বাউলের ছোট ভাই বিপ্লব বাউল জানান, অনুপ গত ৩ জানুয়ারি স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সিরাজদিখান থানার ভাড়ালিয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে তিনি ব্যবসায়িক অংশীদার নয়নকে পাওনা ২ লাখ টাকা দিতে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে গত ৪ জানুয়ারি সকাল ৯টায় ২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে অনুপকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন নয়ন। এরপর থেকেই অনুপ নিখোঁজ হন।

সর্বশেষ খবর