শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

আচরণবিধি লঙ্ঘনে নৌকার প্রার্থিতা বাতিল তিন এমপিকে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল খালেকের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার ঝিনাইদহে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারে বাধা এবং সংঘর্ষের ঘটনার পর গতকাল এ সিদ্ধান্ত জানায় ইসি।

ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানান, কমিশন সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনার পর তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রার্থিতা বাতিলের এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঝিনাইদহে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলসহ তার সমর্থকদের ওপর বুধবার হামলা হয়। এ হামলার জন্য খালেকের সমর্থকদের দায়ী করা হচ্ছে।

খালেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় ঝিনাইদহে এখন হিজলসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বহাল রয়েছে। এর মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, অন্যজন ইসলামী আন্দোলনের।

তিন এমপিকে ইসির হুঁশিয়ারি চিঠি : দেশে চলমান স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা (এমপি) নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, যা স্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য তিন এমপিকে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ চিঠি শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হাসান, ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী এবং  ঝিনাইদহ-১ আসনের মো. আবদুল হাইয়ের কাছে পাঠানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন চলমান রয়েছে। নির্বাচন অনুসরণের জন্য নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা কার্যকর রয়েছে। এতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমান অধিকারের বিষয় বর্ণিত আছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো এলাকায় আচরণ বিধিমালার ব্যত্যয় ঘটানো হচ্ছে বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

বিশেষ করে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন, যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ অর্থদ  ও কারাদে র বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব সংসদ সদস্যকে উক্তরূপ বিধি বিধান সদয় অবগতির জন্য এখানে পুনরুল্লেখ করা হলো। আইনপ্রণেতা সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে বা তাদের সংশ্লিষ্টতার কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো ঘটনা অনাকাক্সিক্ষতও বটে। এরূপ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য এড়াতে পারেন না। এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী। এক্ষেত্রে কমিশন সংসদ সদস্যদের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। তথাপিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থানে যেতে হতে পারে।

সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যরা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তার ভোট প্রদানের জন্য নির্ধারিত ভোট কেন্দ্রে গমন করতে পারবেন এবং ভোট শেষে ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। এ অবস্থায় নির্বাচনী আচরণ বিধি আপনি প্রতিপালন করবেন মর্মে নির্বাচন কমিশন আশা প্রকাশ করে।

সর্বশেষ খবর