শনিবার, ৪ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

সোনা চোরাচালান ঠেকাতে উৎসে কর প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈধ উপায়ে সোনা আমদানি উৎসাহিত করতে ও চোরাচালান বন্ধ করার জন্য বর্তমানে বহাল থাকা ৫ শতাংশ উৎসে কর প্রত্যাহার করা হবে। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ কাস্টমসের বর্তমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম বা ২০ ভরি পর্যন্ত সোনা আনতে পারেন। এ আমদানি করা সোনার জন্য সরকারকে ভরিপ্রতি (১১.৬৬ গ্রাম) ২ হাজার টাকা কর দিতে হয়। অন্যদিকে যাত্রীরা ১০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনার গহনা বিনা শুল্কে আনতে পারেন। তবে যাত্রীকে নিশ্চয়তা দিতে হয় যে, তার কাছে ১২টির বেশি গহনা নেই।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলজার আহমেদ সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এ কর কমানোর সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয় পক্ষই লাভবান হবে। আমরা এনবিআরকে ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে কর ২ শতাংশ করার অনুরোধ করেছি। যদি কর্তৃপক্ষ সঠিক পদক্ষেপ নেয় তবে ক্রেতারাও ভ্যাট দিতে আগ্রহী হবেন।

২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো সোনা নীতি করে সরকার। সোনা আমদানি ও রপ্তানি উৎসাহিত এবং এ ব্যবসায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ নীতি করা হয়েছিল। এ নীতি ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। এ পদক্ষেপ কিছু বেসরকারি উদ্যোক্তাকে সরকারি নীতি ও নির্দেশনা মেনে সোনা আমদানিতে আগ্রহী করে। অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, কর প্রত্যাহার জুয়েলারি ব্যবসা সম্প্রসারিত করবে এবং এ খাতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। এ নীতি অনুযায়ী একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রতিষ্ঠা এবং গোল্ড রিফাইনারি ইউনিট স্থাপন করা হবে। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি গেজেট প্রকাশ করেছিল, যা ৩ জুন ২০২১ থেকে কার্যকর হয়েছে। তাতে প্রথমবারের মতো দেশে কাঁচা সোনা আমদানি ও বিশুদ্ধকরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এতে স্থানীয় সোনা ব্যবসায়ীদের বিশুদ্ধ করা সেই সোনার গহনা, সোনার বার ও সোনার মুদ্রা দেশি ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, বছরে বাংলাদেশে ৪০ টনের বেশি সোনার চাহিদা আছে। যার অধিকাংশ আসে চোরাইপথে ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা সোনা  থেকে। ২০২১ সালে দেশের সোনার বাজারের আকার ছিল ২৪৯.০২ বিলিয়ন ডলারের। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছর সেই বাজারের আকার হবে ২৬৯.১৯ বিলিয়ন ডলারের। বৈশ্বিক হিসাবে, ২০৩০ সালের মধ্যে এ বাজারের আকার হবে ৫১৮.৯০ মিলিয়ন ডলার। ২০২২-২০৩০ সময়ে বার্ষিক বৃদ্ধির হার (সিএজিআর) হবে ৮.৫ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর