নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেন ও যাত্রীবাহী পিকআপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রায়পুরার হাসনাবাদ রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও যাত্রীবাহী টাটা পিকআপের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দুজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা যান। নিহতরা হলেন- সুজাত মিয়া (২৫), শাহিন (২৭) আনিস খান (২৬) ও আনোয়ারুল (২৬)। নিহতরা সবাই নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কালিহর মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন- নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কালিহর মাইজপাড়া গ্রামের শাজাহান ও পিকআপ চালক গোপালগঞ্জ জেলার সজীব। রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই সময় নিহতরা পিকআপযোগে রায়পুার রাধাগঞ্জ বাজার থেকে একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের কাজ শেষে নরসিংদীর দিকে ফিরছিলেন। ওই সময় ঢাকা থেকে ইন্টারসিটি জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট যাচ্ছিল। আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় পিকআপের সঙ্গে ট্রেনটির সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপটি ছিটকে রেললাইনের এক পাশে গিয়ে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। গুরুতর আহত চারজনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিন ও আনোয়ারুল নামে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত শাজাহান বলেন, ‘রায়পুরার রাধাগঞ্জ বাজারে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের কাজ শেষে ফিরছিলাম। এর মধ্যে দুর্ঘটনা। কীভাবে কী হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।’ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তারেক বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দ শুনি। দৌড়ে কাছে এসে দেখি ট্রেনের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষ হয়েছে। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর পিকআপের লোকগুলো মাটিতে পড়ে ছটফট করছিলেন। দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’ আমিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কাদির বলেন, ট্রেনের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে দুজন ঘটনাস্থলে ও দুজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নরসিংদী রেল পুলিশের এসআই ইমায়েদুল জাহেদী জানান, নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
