সাভারে সড়কে বাস ও ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তিন কর্মকর্তাসহ চারজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে (মামলা নম্বর-১৪)। এতে সেইফ লাইন বাসের নাম না জানা চালকসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু সেই বাসচালক ও মালিকের খোঁজ গতকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গতকাল সকালে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এর আগে রবিবার রাত ৯টার দিকে বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলাটি করেন সাভার হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফজলুল হক।
সেইফ লাইন বাসের নাম না জানা চালকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাটির এজাহার সাভার হাইওয়ে থানায় করা হলেও মামলাটি হয়েছে সাভার থানায়।পুলিশ জানায়, সেইফ লাইন পরিবহনের বাসটির প্রাথমিকভাবে আমরা যে নম্বর পেয়েছি তা হলো ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৫৮৭৮। তবে বাসটির রোড পারমিট, ফিটনেস ও রোড ট্যাক্স ছিল কি না তদন্তের পর জানা যাবে। তিন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ পরমাণু শক্তি কমিশনের বাসের চালকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়।
রবিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় সেইফ লাইনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভাজন টপকে পরমাণু শক্তি কমিশনের বাস ও একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান আরিফ, পূজা সরকার, কাউসার রাব্বি ও সংস্থাটির বাসের চালক রাজিব হোসেন নিহত হন।