মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

পি কে হালদারকে আদালতে তোলা হচ্ছে আজ

কলকাতা প্রতিনিধি

বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হওয়া পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে ১১ দিনের জেল হেফাজত শেষে আজ আবার আদালতে তোলা হচ্ছে। বেলা   ১১টা নাগাদ অভিযুক্তদের কলকাতার নগদ দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে। সূত্র জানায়, অভিযুক্তদের ফের জেল হেফাজতের আবেদন জানাবে ইডি এবং প্রয়োজনে কারাগারের ভিতর গিয়ে জেরা করবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কারণ, বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা তাদের কাছে।

গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে গ্রেফতার ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর দুই দফায় মোট ১৩ দিন ইডি রিমান্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। এ সময় নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় ইডি।

১৩ দিনের ইডি রিমান্ড শেষে গত ২৭ মে আদালত তাদের ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই পর্বে কারাগারে গিয়েও পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের ওই বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি কারাগারে অবস্থান করছেন পি কেসহ অভিযুক্ত পাঁচ পুরুষ আসামি। নারী অভিযুক্তকে রাখা হয়েছে আলীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে।

পিকে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছেন, শুধু অশোকনগর বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, পি কে হালদার এবং তার সহযোগীরা গোটা ভারতজুড়ে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছেন। তাদের জেরা করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও হদিস পাওয়া গেছে। অর্থ আত্মসাতের একটা বিশাল অংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে আবাসন খাতে। কলকাতা এবং তার উপকণ্ঠে এমন একাধিক সংস্থার খোঁজ পেয়েছে যেগুলো পি কে হালদার বা তার সহযোগীদের হাতেই গড়ে উঠেছে। যদিও সেই আয়ের উৎস পি কে হালদার বা তার সহযোগীরা দেখাতে পারেননি।

সর্বশেষ খবর